উত্তর ২৪ পরগনা: সস্ত্রীক দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar Mandir) মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। রবিবার সকালে সাড়ে আট নাগাদ তিনি স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে পৌঁছন। তার আগে বিশেষ নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল মন্দির চত্বর। মোতায়েন করা হয় স্পেশ্যাল ফোর্স। পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। রাজ্যপাল জানান, বাংলার অন্যতম তীর্থক্ষেত্র এই দক্ষিণেশ্বর। ঠাকুর রামকৃষ্ণের স্মৃতি জড়িয়ে এই মন্দিরে। তাই তিনি পুজো দিতে এসেছিলেন। এদিনও বাংলার সংস্কৃতির প্রশংসা করেন তিনি। সঙ্গে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। দক্ষিণেশ্বরের দ্বাদশ শিবমন্দিরও ঘুরে দেখেন বাংলার রাজ্যপাল। দক্ষিণেশ্বর মন্দির ঘুরে রাজ্যপাল বলেন,”বাংলা আমার সেকেন্ড হোম। এখানকার মানুষদের আমি ভালোবাসি।” বাংলার প্রশংসা তিনি এর আগেও করেছেন। বাংলার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি নিয়েও যে তাঁর আগ্রহ হয়েছে, তা প্রকাশিত হয়েছে একাধিক কথায়।
অতীতেও দেখা গিয়েছে, বাংলায় এসে এখানকার ভাষা শেখার আগ্রহ দেখিয়েছেন একাধিক রাজ্য়পাল। প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী নিজেও বাংলা শিখেছেন এক আইএএস অফিসারের কাছে। কিন্তু এইভাবে রাজভবনে রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠান অতীতে দেখেনি বাংলা। রাজ্যপালের বাংলা শেখা নিয়ে সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই প্রচুর জলঘোলা হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজোর দিনে রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হয়েছে। তিন খুদের হাত ধরে বাংলা বর্ণ লেখেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই তাঁর দিল্লি সফরের বিষয়টি সামনে আসে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়। এদিন অবশ্য এহেন কোনও প্রসঙ্গই উত্থাপনের অবকাশ দেননি রাজ্যপাল।