উত্তর ২৪ পরগনা: স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগে। তারপর থেকে বাড়িতে একাই থাকতেন। ছেলে থাকতেন অন্যত্র। কিন্তু শেষ বৃহস্পতিবার তাঁকে বাড়ির বাইরে দেখতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। তারপর আর থেকে আর দেখতে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা ভেবেছিলেন, হয়তো কোথাও গিয়েছেন। বুধবার সকালে ঘরের দরজাটা একটু খুলে গিয়েছিল হাওয়ায়। দরজার ফাঁক দিয়েই ঘরে ঢুকে পড়ে একটা কুকুর। তখনই দরজা খুলে গেলেই কটু গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তখনই প্রতিবেশীরা বিপদ আঁচ করেন। ঘরের ভিতর ঢুকে তাঁরা দেখেন, খাটের নীচে পড়ে রয়েছে বাড়ির মালিকের দেহ। পচন ধরেছে তাতে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার হাটথুবার দাসপাড়া এলাকায় ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের নাম সত্যরঞ্জন দে (৫৬)। হাবড়া থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যরঞ্জন রাস্তাঘাটে বেরোতেন। দোকানপাটেও যেতেন। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথাবার্তা বলতেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তাঁকে বাড়ির বাইরে দেখা যাচ্ছিল না। ঘরের দরজা স্থানীয় বাসিন্দারা দেখে মনে করেছিলেন ভিতর থেকেই বন্ধ। কিন্তু বুধবার সকালে ওই দরজা ঠেলেই ঘরে ঢুকে যায় রাস্তার একটা কুকুর। এরপর হাওয়ায় দরজা পুরোটাই খুলে যায়।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, খাটের নীচে দেহটা পড়েছিল। দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তড়িঘড়ি হাবড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ মনে করছে বেশ কিছু আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। তাই শরীরে পচন ধরেছে। কিন্তু ব্যক্তির মৃত্যু কি স্বাভাবিক? তিনি কি অসুস্থ ছিলেন? নাকি অন্য কোনওভাবে মৃত্যু? দেহ কীভাবে খাটের নীচে গেল? এই সব বিষয়ই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরেই ওঁকে দেখতে পারছিলাম না। দরজাও বন্ধ ছিল। আমরা ভেবেছিলাম কোথাও গিয়েছেন হয়তো, কিন্তু এমনটা হবে ভাবতেও পারিনি।”
আরও পড়ুন: রক্তমাখা কাপড়ের টুকরো, চাদরে বীর্যের নমুনা! হাঁসখালিকাণ্ডে এবার পুলিশের হাতে বিস্ফোরক ‘ক্লু’
আরও পড়ুন: দেওয়া হচ্ছে রক্ত, এখনও আতঙ্কে রয়েছেন বোলপুরের ‘নির্যাতিতা’