কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেল ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার পুরপিতা ও কাউন্সিলরদের সাম্মানিক। কর্মীদের বেতন ছাড়া অন্য কোনও খরচ আপাতত করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হল আদালতের তরফে। ওই পুরসভায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের গ্র্যাচুইটি দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগ জানিয়েই আদালতে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ, অবিলম্বে রাজ্য সরকার ও পুর কর্তৃপক্ষকে কথা বলে সমাধান সূত্র বের করতে হবে। এভাবে দুই পক্ষের জাঁতাকলে পড়ে কর্মীরা বঞ্চিত হতে পারেন না বলে জানিয়েছে আদালত। অবিলম্বে পেনশনভোগীদের বকেয়া গ্র্যাচুইটি এবং পেনশন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। আগামী ১৬ জানুয়ারি অবধি সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন ভাটপাড়া পুরসভার পেনশনভোগীরা। আদালতের নির্দেশে তাঁরা তাঁদের বকেয়া পেনশন ফিরে পাওয়ার আশা দেখছেন।
ভাটপাড়া পুরসভার অন্যতম অবসরপ্রাপ্ত কর্মী পরেশ পাল জানান, দিনের পর দিন প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে মামলা হয়। ২০২১-এর ৫ অগস্ট সেই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে গ্র্যাচুইটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট। আট সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও টাকা না দেওয়ায় পুরসভার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই আদালত অবমাননার মামলায় আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বেতন দেওয়া ছাড়া আর কোনও খরচ করতে পারবে না পুরসভা। অন্তত ৫১৬ জন বঞ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরেশ পাল।
পুরসভার তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে না বলেই পেনশনভোগীদের ওই টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের যা টাকা দেওয়ার কথা, তা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ‘আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। ১৬ জানুয়ারি আইনজীবীদের মাধ্য়মে আদালতে সবটা জানিয়ে দেব।’ তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ, আপাতত পুরসভার তহবিলের টাকা পেনশন ও গ্র্যাচুইটি ছাড়া অন্য কোনও খাতে ব্যবহার করা যাবে না। এই নির্দেশের ফলে পুরসভার কোনও অসুবিধা হবে না বলেই দাবি করেছেন তিনি। তবে পুরসভার তহবিলে যে টাকার অভাব রয়েছে, সে কথা এদিন উল্লেখ করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি।