Woman Death: ঋণের টাকায় জর্জরিত স্বামী, ‘দায়মুক্ত’ করতে বন্ধ ঘরেই স্ত্রী বেছে নিলেন চরম পথ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 11, 2022 | 2:11 PM

Basirhat: বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার হঠাৎগঞ্জ সাহাপাড়ার ঘটনা। তিন বছর আগে হাসনাবাদ থানার হরিকাটি গ্রামের বছর বাইশের রিমা সাহার সঙ্গে বিয়ে হয় স্বরূপনগরের হঠাৎগঞ্জ সাহাপাড়ার বাসিন্দা পেশায় ফাস্টফুডের দোকানের মালিক গোবিন্দ সাহার ।

Woman Death: ঋণের টাকায় জর্জরিত স্বামী, দায়মুক্ত করতে বন্ধ ঘরেই স্ত্রী বেছে নিলেন চরম পথ
গ্রেফতার স্বামী (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বসিরহাট: পণ নিয়ে বিয়ে করেছিলেন তিন বছর আগে। কিন্তু এরপরও মেটেনি আবদার। লাগাতার চলছিল পণের জন্য দাবি। সঙ্গে অকথ্য অত্যাচার। শেষমেশ আর না পেরে মর্মান্তিক পরিণতি গৃহবধূর। আত্মহত্যা প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগ স্বামী, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে।

বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার হঠাৎগঞ্জ সাহাপাড়ার ঘটনা। তিন বছর আগে হাসনাবাদ থানার হরিকাটি গ্রামের বছর বাইশের রিমা সাহার সঙ্গে বিয়ে হয় স্বরূপনগরের হঠাৎগঞ্জ সাহাপাড়ার বাসিন্দা পেশায় ফাস্টফুডের দোকানের মালিক গোবিন্দ সাহার। রিমার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের সময় সাধ্যমত রিমার পরিবার সোনার গহনা, আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ দিয়েছিল। কিন্তু দিনের পর দিন তাঁদের চাহিদা বেড়ে যায়।

রিমা ও তাঁর পরিবারকে লাগাতার পণের দাবিতে চাপ দিতে থাকেন স্বামী গোবিন্দ। পণ না দেওয়ায় রিমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বেড়েই চলে। কয়েকদিন ধরে এই নিয়ে গণ্ডগোল চলছিল দম্পতির মধ্যে। অভিযোগ, মারধরও করা হত বাড়ির বউকে। শেষে দশ হাজার টাকা নগদ চেয়েছিলেন গোবিন্দ। কারণ তিনি অনলাইনে জুয়ার নেশায় বুঁদ হয়েছিলেন। এই নিয়ে রিমার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

এদিন, স্বামী ও শাশুড়ি ওই বধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। অভিযোগ, তারপরই গলায় দড়ি দিয়ে রিমা ঝুলে পড়েন। প্রতিবেশীরা জানতে পেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল তারপর আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

মৃত গৃহবধূর মা নমিতা সাহা জামাই গোবিন্দ সাহা, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে স্বরূপনগর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় স্বামী গোবিন্দ সাহাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। মৃত বধূর মা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অঝোরে কাঁদতে-কাঁদতে মৃতার মা বলেন, “আমার জামাই মারধর করেছে সোনার গহনা ও টাকা দেওয়ার জন্য। মেয়ে কিছু না দেওয়ায় ওর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি চাই ওর কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হোক।”

Next Article