AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ichapur: তুরুপের তাস ‘আকাশবোমা’, আমেরিকাকে ‘গোল দিতে’ শক্তি বাড়াচ্ছে বাংলার ইছাপুর

Ichapur: অন্যান্য বিষয়গুলির মতো এবার অস্ত্রের ক্ষেত্রে 'আত্মনির্ভর' হচ্ছে ভারত। আর দেশের এই আত্মনির্ভরতার পথে অবদান রাখছে বাংলার ইছাপুরের মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্য়াক্টরি।

Ichapur: তুরুপের তাস 'আকাশবোমা', আমেরিকাকে 'গোল দিতে' শক্তি বাড়াচ্ছে বাংলার ইছাপুর
Image Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2025 | 3:07 PM
Share

ইছাপুর: বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ভারত। আমেরিকা, ইউরোপ ও রাশিয়ার মতো দেশগুলি থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার সামগ্রী নিয়ে আসে নয়াদিল্লি। কিন্তু এই বন্দুক আমদানির ক্ষেত্রে কতদিনই বা পরনির্ভরতা চলে? সেই নিয়ে ভাবছে কেন্দ্রও।

অপারেশন সিঁদুরের সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, গোটা সংঘাত ও জঙ্গি দমন পর্বে নজিরবিহীন কৃতিত্ব রেখেছে দেশের তৈরি প্রতিরক্ষা সামগ্রী। অর্থাৎ অন্যান্য বিষয়গুলির মতো এবার অস্ত্রের ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ হচ্ছে ভারত। আর দেশের এই আত্মনির্ভরতার পথে অবদান রাখছে বাংলার ইছাপুরের মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্য়াক্টরি।

কী তৈরি করছে ইছাপুর?

এতদিন যে শক্তি শুধুমাত্র আমেরিকা ও ইউরোপের হাতের মুঠোয় আবদ্ধ ছিল, সেই ‘শক্তিকেই’ আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করছে ইছাপুর। জানা গিয়েছে, হাজার কেজির ‘এরিয়াল ফর্জড বোমা’র খোল তৈরি করছে মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্য়াক্টরি। তবে এটা এখনও ট্রায়াল রান। এর আগে ৫০০ কেজি বোমার খোল তৈরিতে সাফল্য লাভের পর এবার লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে আবার নেমে পড়েছে তারা।

খুব সহজভাষায় আকাশপথে যে বোমা ব্যবহার হয়, সেই বোমাগুলিরই খোল তৈরি হচ্ছে বাংলায়। সাম্প্রতিককালে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পর্বে দেশের আকাশরক্ষীদের শক্তি দেখেছিল জনগণ। এবার সেই শক্তি প্রদশর্নের দৌড়ে জুড়ে গেল বাংলার নাম। এই কাজে ইছাপুর সাফল্য পেলে যে শুধু ভারতের বোমার খোলের চাহিদা মিটবে এমনটাই নয়। দেশ হবে আত্মনির্ভর। তাছাড়াও তৈরি হবে ব্যবসায়িক সুযোগ।

বর্তমানে এই এরিয়াল ফর্জজ বোমা তৈরির কাজ গোটা বিশ্বে শুধুমাত্র আমেরিকা ও ইউরোপই করে থাকে। ফলত যে সকল দেশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভর, তাদের কাছে একমাত্র ‘দোকানী’ বলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। এই পরিস্থিতিতে ইছাপুর যদি একবার সাফল্য পেয়ে যায় এটা ব্যবসায়ীক দিক থেকে অনেকটাই লাভবান হবে। গোটা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মিলবে বরাত।

এদিন ইছাপুরের কারখানার জেনারেল ম্য়ানেজার কিশোর মাশখিজানি বলেন, “কিছু দেশ থেকে বরাত পাওয়া গিয়েছে। এর আগে ৫০০ কেজির বোমার খোল তৈরিতে সফল হয়েছিল ইছাপুর মেটাল অ্যান্ড স্টিল কারখানা। তারপরই এই বরাত মেলে। এবার সেই ভিত্তিতেই ১ হাজার কেজির ট্রায়াল চলছে। আমাদের আশা আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন হবে।”

তাঁর সংযোজন, “আমরা যতদূর জানি আমেরিকা এই প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তাদের কাছে সব ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হলে আমরা সবার প্রথমে দেশের সেনাকে এই ফর্জড বোমার শেল প্রদান করব। তারপর ব্যবসায়ীক লাভের জন্য বাকি দেশগুলির কাছেও প্রস্তাব পাঠাবো।”