Trafficking: গ্রেফতার আন্তর্জাতিক বাইক পাচারকাণ্ডের মূল পাণ্ডা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 02, 2021 | 7:22 PM

Byke Trafficking: দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের কাছে খবর আসছিল বসিরহাট পুলিশ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাইক চুরি হচ্ছে। 

Trafficking: গ্রেফতার আন্তর্জাতিক বাইক পাচারকাণ্ডের মূল পাণ্ডা!
প্রতীকী ছবি

Follow Us

বসিরহাট: অবশেষে গ্রেফতার আন্তর্জাতিক বাইক পাচারকাণ্ডের মূল পাণ্ডা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬টি মোটর সাইকেল (byke)। যার বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা।

দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের (police) কাছে খবর আসছিল বসিরহাট পুলিশ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাইক চুরি হচ্ছে।  কোনও ভাবেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে পারছিল না পুলিশ। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন তাঁরাও। তল্লাশি জারি থাকে।

এবার সেই চুরির কিনারা করতে গিয়ে পুলিশ হাতেনাতে সীমান্ত থেকে পাচারের মূল পান্ডা বছর ৩৭-এর রাজেশ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের বাড়ি স্বরূপনগর থানার শাঁড়াপুল সীমান্তে।

আজ ভোররাতে রামচন্দ্রপুর এলাকায় জড়ো হয়েছিল মূলপাণ্ডা সহ আরও কয়েক জন বাইক পাচার চক্রি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ আধিকারিক অনিল সাউের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে বসিরহাট-মছলন্দপুর রোডের রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে হাতেনাতে তাদের পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যেগুলো বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। ধৃত পাচারকারীকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে।

কয়েকমাস আগের ঘটনা। সামনে আসে চন্দনকাঠ পাচারের ঘটনা। প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করলেন বনকর্মীরা। সেইসঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক পাচারকারী। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া চা বাগানে।

কিছুদিন ধরেই বনকর্মিরা খবর পাচ্ছিলেন, চোরা পথে পাচার হচ্ছে বহুমূল্য লাল চন্দন কাঠ। সেই অনুয়ায়ী পাচারকারীর জন্য ফাঁদ পাতেন তাঁরা। আর তাতেই ধরা দিল পাচারকারী। মরাঘাট রেঞ্জে বনকর্মি ও এসএসবি ১৭ ব্যাটেলিয়ানের যৌথ অভিযানে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া চা বাগানের ৫ নং লাইনের এক বাসিন্দার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রায় সাড়ে তিন কুইন্টাল লাল চন্দন কাঠ।

জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে লাল চন্দন কাঠের টুকরো দেখাতে আসেন এক পাচারকারী। খদ্দের সেজে সেখানে হাজির ছিলেন বন দফতরের এক কর্মী। কেনার অছিলায় কাঠের টুকরো পরীক্ষা করে দেখে নেন তিনি। তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি হয়। দেখা যায় দামী লাল চন্দন কাঠ পাচার হচ্ছে এভাবেই।

এরপর  ফের সেই বনকর্মি খদ্দের সেজে হাজির হন বীরপাড়ার ৫ নম্বর লাইনের এক বাড়ির সামনে। এদিকে পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরতে তৈরি ছিল মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মি ও ফালাকাটা এসএসবি জওয়ানরা যৌথভাবে। তারপর হাতনাতে চন্দন কাঠ সহ ধরা পড়ে পাচারকারী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় প্রায় সাড়ে তিন কুইন্টাল লাল চন্দন কাঠ। মরাঘাট রেঞ্জ সূত্রের খবর, পাচারকারীর নাম অমিত বাড়া।

মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার পাল জানান, “খদ্দের সেজে আমরা প্রথমে কাঠের নমুনা সংগ্রহ করি। এরপর এদিন সন্ধ্যায় ফালাকাটা ১৭ এসএসবি জওয়ানদের সাথে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করা হয়। একজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। ”

 

Next Article