উত্তর ২৪ পরগনা: একটা রাতের তফাৎ। আড়িয়াদহের গ্যাংস্টার জয়ন্ত সিং ও তাঁর গ্যাংয়ের একের পর এক ভিডিয়ো যখন প্রকাশ্যে আসছে, আড়িয়াদহের ক্লাবে কিশোরকে নগ্ন করে যৌনাঙ্গে সাঁড়াশির চাপ থেকে শুরু করে যুবককে হকিস্টিক দিয়ে পেটানোর ভিডিয়ো (যে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা) রাজনৈতিক শোরগোল ফেলে দিয়েছে, তখন নিজের বাড়িতে বসেই বিধায়ক মদন মিত্র দাবি করেছেন, এসবের পিছনে নাকি ‘ঠিকাদার রয়েছে’। ঠিকাদার মানে কাকে বলতে চেয়েছিলেন মদন, তা নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখন আরও বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
জয়ন্ত সিংয়ের ক্লাবের ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মদন মিত্রের ছেলে শুভরূপ মিত্র স্টেজে জয়ন্ত সিংয়ের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর গলায় হাত দিয়ে ছবিও তুললেন। শুধু তাই নয়, মদন মিত্রের ছেলে শুভদীপ মিত্র বললেন, “এই তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবকে যে ভীষণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সে হল এই জয়ন্ত সিং।”
প্রকাশ্যে আরও এক ভিডিয়ো, একের মদন মিত্রের ছেলে শুভদীপ মিত্রের একেবারে পারিবারিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে জয়ন্ত সিংকে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জয়ন্ত সিং কেক কাটচ্ছেন, পাশে মদন মিত্রের পত্রবধূ মেঘনা মিত্র। তিনি কেক কেটে তাঁকে নিজের হাতে খাওয়ালেন। পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মদনের ছেলে। তাঁকেও পরে কেক খাওয়ালেন জয়ন্ত।
এবার প্রশ্ন উঠছেন, তাহলে কী বলবেন মদন মিত্র? আড়িয়াদহে মা ছেলেকে পেটানোর অভিযোগের পরই জয়ন্তের একের পর এক কীর্তি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তিনি কার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠেছেন, তা নিয়ে বিধায়ক-সাংসদের মধ্যেও কম তরজা হয়নি। এমনকি মঙ্গলবারই TV9 বাংলাকে মদন মিত্র বলেছেন, “তলিয়ে দেখতে হবে, তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের পিছনে কে? ঠিকাদার আছে, সবাই জানে। জয়ন্তরা নিমিত্ত মাত্র। পুলিশ ধরলে সবটা করুক, তদন্ত করুক।” কিন্তু এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর মদন মিত্র কী বলবেন, সেটাই দেখার।