খড়দহ: ইতিহাস পরীক্ষা মনমতো হয়নি। বাড়িতে এসে সেকথা বাবা-মাকে জানিয়েছিল। পরিবারের দাবি, তাকে সে অর্থে বকঝকাও করা হয়নি। বলা হয়েছিল পরের পরীক্ষার প্রস্তুতি যাতে ভালভাবে নেয়। সব শুনে খেয়ে ঘরে চলে যায় মেয়ে। খাওয়াদাওয়ায় সারে। বাড়ির লোক ভেবেছিলেন হয়তো বিশ্রাম নিয়ে পড়তে বসবে। দীর্ঘক্ষণ ঘরে সাড়াশব্দ না পেয়ে বাবা-মা যান। দেখেন, ঘরের ভিতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে মেয়ে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল খড়দার শ্রীপল্লি এলাকায়। মৃতের নাম অরিত্রিকা সেনগুপ্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরিত্রিকা খড়দহ কল্যাণ নগর স্কুলের ছাত্রী। মাধ্যমিকের সিট পড়েছিল খড়দহ পাতুলিয়া হাই স্কুলে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিহাস পরীক্ষা ভালো হয়নি। মানসিকভাবে যে বিধ্বস্ত ছিল তা পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিল সে। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বসে খাবারও খায়। তারপর নিজের ঘরে চলে যায়। পরিবারে সদস্যরা জানাচ্ছেন, মেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে ভেবেছিলেন তার বাবা-মা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কোনও সাড়া না পেয়ে তাকে ডাকতে গিয়েছিলেন। তারা দেখেন, ঘরে ফ্যানের সঙ্গে দড়ি লাগিয়ে ঝুলছে আরিত্রিকা।
স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন রহড়া থানায়। পুলিশ গিয়ে ঘর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রহড়া থানার পুলিশ। মৃতদেহের পাশ থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতেই পরীক্ষা ভালো না হওয়ার কথা বলা ছিল। ছাত্রীর মা কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। বাবা বলেন, “আমরা ওকে বকাঝকা করিনি। বুঝিয়েছিলাম। একটা পরীক্ষা খারাপ হয়েছে, পরেরটা ভালো করে দেওয়ার চেষ্টা কর। কোনও কথার উত্তর দেয়নি। ঘরে চলে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম হয়তো পড়তে বসবে। তার মধ্যেই এমন কিছু ভেবে বসেছিল ও…”