বসিরহাট: শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে বহু শিশু ভর্তি রয়েছে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। বসিরহাটের (Basirhat news) সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ১০টি ব্লকে অনেক শিশুই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ও জ্বরে ভুগছে বলে জানা গিয়েছে। বেশি অসুস্থ হচ্ছে ৬ মাস থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে শিশুরা। বসিরহাট জেলা হাসপাতালের (Basirhat District Hospital) অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুপ্রিয়া শীল জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত ARI সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৬৫ জন শিশু। এই পরিসংখ্যান শুধু বসিরহাট জেলা হাসপাতালেরই। এর পাশাপাশি বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে রয়েছে একাধিক গ্রামীণ হাসপাতাল। শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতাল, হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতাল, সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতাল, হিঙ্গলগঞ্জের স্যান্ডেলরবিল গ্রামীণ হাসপাতালে, বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ও টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল। এছাড়া রয়েছে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রও।
এই সব জায়গাতেও শিশুরা একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এই সব গ্রামীণ হাসপাতাল ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তির সরকারি হিসেব পাওয়া যায়নি। তবে অসমর্থিত সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই গড়ে দশ জন করে শিশুর চিকিৎসা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী হিসেব করা হলে, গোটা বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় জ্বর-শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা শিশুদের সংখ্যা প্রায় একশোর আশেপাশে।
বসিরহাট জেলা হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার (নন মেডিক্যাল) সুপ্রিয়া শীল ক্যামেরার সামনে কিছু না বলতে চাইলেও, তিনি জানিয়েছেন, বসিরহাটে এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্তের খবর মেলেনি। তবে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই সবাইকে অনুরোধ করেছিলেন, যাতে কেউ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হন। দুশ্চিন্তা না করে বাড়ির বড়দের আরও বেশি করে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যে যে শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেড রয়েছে, সেই কথাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।