Murder Case: স্ত্রী’র পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি বের করে চারদিন ফেলে রেখেছিল ঘরেই, ছেলের সাক্ষ্যতেই সাজা মিলল অভিজিতের

Murder Case: খুনের পাশাপাশি গার্হস্থ্য হিংসার মামলাও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আরও তিন বছরের হাজতবাস এবং ৫০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।

Murder Case: স্ত্রী'র পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি বের করে চারদিন ফেলে রেখেছিল ঘরেই, ছেলের সাক্ষ্যতেই সাজা মিলল অভিজিতের
স্ত্রীকে খুনে সাজা স্বামীর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2024 | 10:16 PM

বারাসত: শাশুড়িকে খুন করে জেল খেটেছিলেন অভিজিৎ দাশগুপ্ত। স্ত্রী’র চেষ্টায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপরই ছত্তিসগঢ় থেকে বাংলায় চলে আসেন তাঁরা। বারাসতের কাজীপাড়ায় ভাড়ায় থাকতেন ওই দম্পতি। তাঁদের এক পুত্র সন্তানও আছে। কিন্তু জেল খেটে আসার পরও শুধরে যাননি অভিজিৎ! একদিন স্ত্রীর পেটেই বসিয়ে দেন ছুরি! ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেন ছেলেই। সেই মামলায় অবশেষে ঘোষণা হল সাজা।

মঙ্গলবারই বারাসতের অভিজিৎ দাশগুপ্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল বারাসত কোর্ট। বুধবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক, সঙ্গে দিতে হবে ১০,০০০ টাকা জরিমানা। খুনের পাশাপাশি গার্হস্থ্য হিংসার মামলাও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আরও তিন বছরের হাজতবাস এবং ৫০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।

এই খবরটিও পড়ুন

বিপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালে। নৃশংসভাবে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তিনি জানান, ওই ব্যক্তি বাড়ির মধ্যেই একদিন তাঁর স্ত্রীর পেটে ছুরি বসিয়ে দেন। নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। আঘাত করেন শরীরে অন্যান্য জায়গাতেও। তারপর নিজেই স্ত্রীর পেটে গামছা বেঁধে ফেলে রাখেন। স্ত্রী যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন, তাতেও কোনও হেলদোল ছিল না অভিজিতের। প্রায় চারদিন পর তাঁর স্ত্রী’র খোঁজ করতে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখতে পান। তখন তাঁকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এরপরই অভিজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ।