বসিরহাট: ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার চিরুনি তল্লাশির পর অবশেষে মাটির স্তূপ থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ সেনা জওয়ানের দেহ। বসিরহাটের বাসিন্দা শেখ মহিউদ্দিনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ২ দিন ধরে। মণিপুরে ভয়াবহ ধসের পর থেকে তাঁর খবর পাওয়ার জন্য উদ্বেগে ছিল গোটা পরিবার। আশঙ্কা ছিলই, তবে মহিউদ্দিন যে আর সত্যিই বাড়ি ফিরবে না, তা ভাবতেও পারেনি তারা। শনিবার সকালে এসে পৌঁছেছে মহিউদ্দিনের মৃত্যুর খবর। এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
গত বুধবার রাতে ধস নামে মণিপুরের ননে জেলার টুপুল রেল ইয়ার্ডে। সেখানে চলছিল রেললাইন পাতার কাজ। আর সেখানেই নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন মহিউদ্দিন-সহ একাধিক সেনা জওয়ান। ধসে ভেসে যায় তাঁদের সেই সেনা-ক্যাম্প। এখনও পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। খোঁজ চলছে আরও অনেকের। বুধবার রাতে শেষ বার বাড়িতে ফোন করেছিলেন ওই জওয়ান।
বসিরহাটের মাটিয়া থানার ঘোড়ারাস কুলীনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়ারাস উত্তরপাড়ার বাসিন্দা শেখ মহিউদ্দিন। মাটির স্তূপের নীচে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সেনা জওয়ান শেখ মহিউদ্দিন সহ মোট তিন জওয়ানের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। এই খবর জানার পরেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ঘোড়ারাস উত্তরপাড়ার শেখ মহিউদ্দিনের পরিবারে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ভারতীয় সেনা তাদের নিজেদের হেফাজতে রেখেছে জওয়ানের দেহ। সেনা হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত হবে। রবিবার আকাশপথে কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হবে তাঁর দেহ। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে বাড়িতে।
মহিউদ্দিনের স্ত্রী রিমানা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, বুধবার শেষ স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। ইদের আগে বাড়ি ফিরবেন বলেছিলেন। এরপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধসের কথা তাঁকে জানাননি কেউ। শুক্রবার সকালে ধসের কথা জানতে পারেন তিনি। তাঁর আশা ছিল, সামান্য চোট লাগলেও বাড়ি ফিরে আসবেন মহিউদ্দিন। তাঁদের এক দেড় বছরের সন্তান রয়েছে।