দেগঙ্গা: বাড়িতে একাকী বৃদ্ধাকে খুনের চেষ্টা। পুলিশের দাবি, প্রথমে ওই বৃদ্ধার মাথায় নোড়া দিয়ে আঘাত করা হয়। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কাটা হয় তাঁর। এই ঘটনায় কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। বৃদ্ধাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে বারাসাত মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ওই বৃদ্ধার স্বামী আবদুল ওয়াহাব জানিয়েছেন, তাঁদের দুটি বাড়ি। একটি মির্জানগর এলাকায়। যেখানে তাঁর স্ত্রী সালিহা বিবি থাকতেন। অপরদিকে, সোহাই এলাকায় আরও একটি বাড়ি রয়েছে। ঘটনার দিন তিনি সেখানেই ছিলেন। এলাকাবাসীর ফোন পেয়ে তিনি আসেন। এই ঘটনার দায় এলাকাবাসীরই একাংশের বিরুদ্ধে চাপিয়েছেন তিনি। আবদুল ওয়াহাব বলেছেন, “মাস খানেক আগে প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় আমার স্ত্রীর। সেই সময় বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল ওকে। হয়ত আক্রোশ বসত এই ঘটনা কেই ঘটিয়ে থাকতে পারেন।” বৃদ্ধার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
প্রত্যক্ষদর্শী এক ভাড়াটিয়া বলেছেন, বৃদ্ধার বাড়িতে উপরের ঘরে ভাড়া থাকতেন তিনি। কোনও দরকার বসত ওই বৃদ্ধাকে ডাকাডাকি করেন নিচ থেকে। এরপর সেখানে গিয়ে দেখেন সাড়া শব্দ পাচ্ছেন না। উপরে গিয়ে দেখেন, ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সঙ্গে-সঙ্গে স্থানীয়দের খবর দিলে তারাই এসে বৃদ্ধাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কী কারণে ওই বৃদ্ধাকে খুন করার চেষ্টা করা হল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দেগঙ্গা থানায় পুলিশ।