কাঁচড়াপাড়া: তৃণমূলের দীর্ঘ সময়ের সৈনিক ছিলেন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে তাঁর দলগত অবস্থান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, রাজ্যের অন্যতম অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবেই পরিচিত মুকুল রায়। ইদানিং রাজনীতিক ময়দানে খুব বেশি সামনে না এলেও, মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা সামনে আসার পর মুখ খুলতে দেখা গেল মুকুল রায়কে। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের দাবি, মন্ত্রিসভার রদবদল করলেও সরকারের ভাবমূর্তিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। সোমবার কলকাতায় আসার আগে কাঁচড়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরনোর সময়েই এমন মন্তব্য মুকুল রায়ের।
সোমবারই রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীপদ থেকে সরানোর পর এ দিনের বৈঠকে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। তিনটি দফতর ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। তাঁর গ্রেফতারির ৮ দিন পর সেই দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থকে। বিরোধীরা বলছেন, ভাবমূর্তি ঠিক করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। মন্ত্রিসভার রদবদল করে কি ভাবমূর্তি বদলানো সম্ভব? সে বিষয়ে এ দিন মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ সবের ওপর ভাবমূর্তি নির্ভর করে না। ভাবমূর্তি নির্ভর করে ভাবমূর্তির ওপরেই।’
তবে একসময়ের সহযোদ্ধা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুকুল রায়। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি দেখিনি, জানিনা, তাই মন্তব্য করতে পারব না।’ অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে কি কোনও উপদেশ দেবেন? সেখানেও মুকুলের উত্তর ‘না।’ কার্যত এ দিন দুর্নীতি ইস্যুতে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি তিনি। আর রদবদল প্রসঙ্গে বলেন, ‘দরকার হলে তবেই মন্ত্রিসভার রদবদল করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী করছেন, তিনিই বলতে পারবেন, কী দরকার হয়েছে।’
উল্লেখ্য, মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। দলত্যাগ বিরোধী আইনে শুনানি চলে দীর্ঘ সময়। পরে স্পিকার জানিয়ে দেন, মুুকুলের দলবদলের প্রমাণ নেই, তিনি বিজেপিরই বিধায়ক কিছুদিন আগে পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবেও তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের দিন, সেই মুকুলই জানান তিনি তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই ভোট দিয়েছেন।