Bengal BJP: শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে ফের বৈঠকে জয়প্রকাশ, রীতেশ! ‘সময়ই বলবে’, খোশ মেজাজে বললেন দুই নেতা
BJP: জয়প্রকাশের দাবি, দল তাঁকে বরখাস্ত করেছে সাময়িকভাবে। তবে তিনি দলের কাজ করে চলেছেন।
উত্তর ২৪ পরগনা: সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দিয়েছে বিজেপি (BJP)। কিন্তু সেসবে খুব একটা আমল দিচ্ছেন না জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি। বরং নিজেদের মতো করেই চলছে পদচারণ। শনিবার বনগাঁ ঠাকুরনগরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Cabinet Minister Santanu Thakur) সঙ্গে ফের বৈঠক করলেন দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত দুই নেতা। বৈঠক শেষে জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর রবিবার দিল্লি যাচ্ছেন। তার আগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন তাঁরা। তবে বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে যে আবহ, তাতে কেবল সাক্ষাৎ হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়নি এমনটাও কার্যত অসম্ভব। জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, দু’জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যখন এক জায়গায় বসেন, অবশ্যই রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে জয়প্রকাশের দাবি, দল তাঁকে বরখাস্ত করেছে সাময়িকভাবে। তবে তিনি দলের কাজ করে চলেছেন। অন্যদিকে রীতেশ তিওয়ারি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আগামিদিনের রণকৌশল কী তা সময়ই বলে দেবে।
এদিন জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “মন্ত্রী বাজেট অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য রবিবারই দিল্লিতে রওনা দিচ্ছেন। তার আগে একটু কথাবার্তা হল। আর দু’জন রাজনীতিবিদ এক জায়গায় হলে রাজনীতি নিয়ে তো কথা হবেই। ঢেঁকি তো স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে। দল তো সাময়িক বরখাস্ত করেছে। পার্টিতে যেমন আছি, কাজ করছি। তারা মনে করেছে কী হিসাবে করেছে জানি না। আমরা বারবার বলেওছি এটা সঠিক না। অনেক কিছুই ইতিমধ্যে বলে ফেলেছি এই বরখাস্ত নিয়ে। মাথায় রাখবেন পোর্ট ট্রাস্ট গেস্ট হাউজে যত আমাদের বিজেপির কর্মীরা ছিলেন, শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে ছিলেন, সবাই আছেন। আরও বেড়েছে সেটা।”
অন্যদিকে রীতেশ তিওয়ারি খুব বেশি কিছু না বললেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরাও সবরকমভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রীতেশ তিওয়ারির কথায়, “দিল্লি যাচ্ছি না। এখন ওখানে খুব ঠান্ডা। দলীয় যা কথাবার্তা হবে সবটা কি সংবাদমাধ্যমে বলা যায়? রাজনীতিকরা একসঙ্গে বসলেও মোয়ার মিষ্টি কম না বেশি তা নিয়ে কি আলোচনা হয়? যা নিয়ে কথা বলার সেটাই আলোচনা হল।”
গত ২৩ জানুয়ারি জয়প্রকাশ মজুমদার ও রিতেশ তিওয়ারিকে শো কজের চিঠি দেয় বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য বিজেপির কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায় এই চিঠি ধরান। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয় দু’জনের বিরুদ্ধেই। এর পরদিন অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি প্রণয় রায়ই সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেন জয়প্রকাশ, রীতেশকে। চিঠিতে লেখা হয়, ‘রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশ অনুসারে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে।’ এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে বঙ্গ বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে একের পর বিস্ফোরক দাবি করেন জয়প্রকাশ মজুমদাররা। বুঝিয়ে দেন, হাল ছাড়বেন না তাঁরাও। নতি স্বীকারও যে সহজে করবেন না, ঠারেঠোরে বোঝান তাও।
আরও পড়ুন: আর এক ‘বেসুরো’! তৃণমূল সাংসদের হাত থেকে সংবর্ধনা বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতির