উত্তর ২৪ পরগনা: অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল বনগাঁতে ৷ মৃত ব্যক্তির নাম গৌর দত্ত (৫২)। তাঁর বাড়ি বনগাঁ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের চামড়াপট্টি এলাকায়। পেশায় তিনি ট্রাক চালক ৷ বুধবার রাতে গোপালনগর থানার সিমলে ফাঁড়ি এলাকা থেকে গৌরকে গুরুতর আহত অবস্থায় তুলে এনে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। গৌর দত্তের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরবাবু আগে সোনা পাচারের কাজ করতেন। বুধবার সকালে ট্রাক নিয়ে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। বাংলাদেশে তাঁর কাছে একজন কয়েকটি সোনার বিস্কুট দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সীমান্ত গার্ডের জওয়ানরা সেগুলি নিয়ে নেন৷ পরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।
অভিযোগ, এরপরই রাতে বাড়িতে কয়েকজন লোক আসেন। গৌরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই গৌরের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পরিবারের তরফে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। রাতে থানায় বিষয়টি জানানোও হয়। তারপর থেকে তাঁর কোনও সন্ধান না পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার।
পরিবারের সদস্যরা বুধবার রাতে পুলিশের মাধ্যমে খবর পান, হাসপাতালে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে রেখে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, গৌরের মৃত্যু হয়েছে। গৌরের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি বাড়ির লোকের।
এরপরই পরিবার বনগাঁ থানায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নামে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম
রশিদ মন্ডল , মনোজ বৈদ্য ও রাকেশ কারিগর। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, তিন জনই গৌরের পূর্ব পরিচিত। তারাও সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।