বারাসত: বেহালারা সৌরনীল সরকারের স্মৃতি এক বছরের মাথায় উস্কে দিল বনগাঁর ঋষভ রায়। প্রেক্ষাপট এক, আর ঘটনাও! পরিণতি মর্মান্তিক। বাড়ির অদূরেই স্কুল। প্রত্যেক দিন নির্দিষ্ট সময়ে মায়ের সাইকেলেই স্কুলে যায় বছর পাঁচেকের ঋষভ রায়। মঙ্গলবার সকালেও স্কুলে যাচ্ছিল। মায়ের সাইকেলের পিছনের সিটে বসে সে। সাইকেলে চাপতে অভ্যস্ত। কিন্তু এদিন মায়ের সাইকেলের সামনে আচমকাই চলে এসেছিল অন্য কোনও গাড়ি। ব্রেক চেপেছিলেন মা। আর ছোট্ট ঋষভ তাল সামলাতে না পেরে সাইকেল থেকে পড়ে যায়। তার তাতেই সব শেষ। পিছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে গেল নার্সারির ছাত্র ঋষভ রায়ের শরীর। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার নহাটার ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋষভ নহাটার একটি বেসরকারি স্কুলের নার্সারির ছাত্র। মঙ্গলবার সকালে মায়ের সঙ্গেই স্কুলে যাচ্ছিল সে। মা কোনওভাবে সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারালে ঋষভ পিছন থেকে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই রাস্তায় সর্বদাই গাড়ি অত্যন্ত দ্রুত চলে। ঋষভ পড়ে যাওয়ার পরই পিছন থেকে আসছিল একটি লরি। ঋষভকে তুলে নেওয়ার আগেই লরির চাকা চলে যায় ঋষভের শরীরের ওপর দিয়ে।
রক্তাক্ত ঋষভকে উদ্ধার করে দ্রুত বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক গাড়িকে আটক করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ । অভিযুক্ত চালকের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পর থেকে কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই ঋষভের মা।
প্রসঙ্গত, গত বছরেই অগস্ট মাসে বেহালার বড়িশা হাই স্কুলের ছাত্র পাঁচ বছরের সৌরনীল সরকারেও মৃত্যু হয়েছিল খানিকটা এভাবেই। বাবার সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। রাস্তা পার হওয়ার সময়ে স্কুলের সামনেই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে গিয়েছিল সৌরনীল।