Basirhat: ‘বাবু বিচার চাই’, শীতের সকালে কাঁপতে কাঁপতে থানায় গিয়ে ভেঙে পড়লেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 26, 2022 | 11:13 AM

Basirhat: বৃদ্ধ রমেশ বাবু এতদিন ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পেতেন, তা এনে তুলে দিতেন ছেলে-বৌমার হাতে। কিন্তু এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ রমেশ এখন সেই সমর্থ্য হারিয়েছেন।

Basirhat: বাবু বিচার চাই, শীতের সকালে কাঁপতে কাঁপতে থানায় গিয়ে ভেঙে পড়লেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ
পুলিশের দ্বারস্থ বৃদ্ধ

Follow Us

বসিরহাট: ঠান্ডার অনুভূতি বেশ ভালই টের পাওয়া যাচ্ছে সকালের দিকে। কলকাতা ও শহরতলি পেরিয়ে জেলাগুলিতে ঢুকলে সেই অনুভূতি আরও জাঁকিয়ে বসছে। আর এমনই এক শীতের সকালে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হল বৃদ্ধ বাবাকে। ঘরছাড়া বৃদ্ধের আপাতত ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নীচে। শনিবার এমনই অভিযোগ উঠেছে বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার কৈজুড়ি গ্রামে। এই গ্রামেরই বাসিন্দা রমেশ সরকার। বয়স ৭২ বছর। বৃদ্ধ রমেশ বাবু এতদিন ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পেতেন, তা এনে তুলে দিতেন ছেলে-বৌমার হাতে। কিন্তু এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ রমেশ এখন সেই সমর্থ্য হারিয়েছেন। আর তাই নিজের জমি, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আজ অসহায় বৃদ্ধ। শীতের কনকনে ঠান্ডার মধ্যে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে।

বছর খানেক আগেই স্ত্রীকে হারিয়েছেন বৃদ্ধ। তারপর থেকেই সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধের জীবনে নেমে এসেছে একাকীত্ব। অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই বাড়িতে অপমানিত হতে হত ওই ব্যক্তিকে। বৃদ্ধের শেষ সম্বল জমি-বাড়িটুকুও ছেলে-বৌমার নামে লিখে দিতে হবে, সেই নিয়েই নাকি লেগে থাকত অশান্তি। বৃদ্ধ তাতে রাজি ছিলেন না। এই নিয়ে বিগত বেশ কয়েকমাস ধরে তাঁকে গালিগালাজ ও মারধর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর তারই চূড়ান্ত পরিণতি হয় শনিবার সকালে। ঠান্ডার মধ্যে বৃদ্ধকে ঘাড়-ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে।

অসহায় বৃদ্ধ আজ তাই বিচার পেতে পুলিশের দ্বারস্থ। স্বরূপনগর থানায় গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ। কাঁদো কাঁদো গলায় থানায় গিয়ে বললেন, ‘বাবু বিচার চাই’। অভিযোগ পেতেই তৎপর পুলিশ প্রশাসনও। বৃদ্ধদের উপরে পারিবারিক চাপ ও অত্যাচার ভারতীয় সংবিধান অনুসারে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বৃদ্ধ বাবা মাকে এইভাবে ঘরছাড়া করা যায় না, বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

যদিও ওই বৃদ্ধের বৌমা জানকি সরকার বলছেন, “কাউকে বের করে দেওয়া হয়নি। এখানে আমাদের থাকতে দেবে না, ঘর করতে দেবে না। তাই এই মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” বৃদ্ধের ছেলে মহাদেব সরকারও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।

Next Article