বারাসত : বৃদ্ধার গলায় ছুরি মেরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ অভিযুক্ত যুবকের। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত থানার অন্তর্গত হৃদয়পুরের শান্তিনিকেতন পল্লীতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। মৃত ওই বৃদ্ধার নাম পুতুল রানী দাস। বয়স ৬৫। অভি সমাদ্দার নামে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে বারাসত আদালতে পেশ করে পুলিশ। তাকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কী কারণে ওই বৃদ্ধার উপর আক্রমণ চালানো অভিযুক্ত যুবক, পুরোনো কোনও আক্রোশ ছিল কি না… সেই বিষয়গুলি এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারাসত থানার পুলিশ। এদিকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারির পর পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে যে ছুরিটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে।
বৃদ্ধার বাড়ি হৃদয়পুরের শান্তিনিকেতন পল্লীতে। এদিন সকালে এলাকারই একটি মাঠে খেজুর গাছের পাতা কুড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই তাঁর উপর চড়াও হয় ওই অভিযুক্ত। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পিছন দিক থেকে এসে বৃদ্ধার গলায় ধারালো একটি ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধা আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সাহায্য চান। এলাকাবাসীরা তড়িঘড়ি এসে তাঁকে জল দেন। পরিবারের লোকদের খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধার বড় ছেলে সেখানে এসে তাঁকে নিয়ে যায় বারাসত হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাও শুরু হয় বৃদ্ধার। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় পুতুল রানীর। এদিকে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের লোকেরা থানায় যান লিখিত অভিযোগ জানানোর জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন অভিযুক্ত যুবক থানাতেই বসে রয়েছে।
বৃদ্ধার পরিবারের লোকেরা গোটা ঘটনার কথা থানায় জানান। পরবর্তীতে অভিযুক্ত ওই যুবকও পুলিশের কাছে স্বীকার করে নেয় ঘটনার কথা। এরপরই ওই যুবককে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় বারাসত থানার পুলিশ। যে ছুরিটি দিয়ে বৃদ্ধার উপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল, সেই ছুরিটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে জেরা করে এই ঘটনার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।