জগদ্দল : বিরোধী শিবির বার বার অভিযোগ তুলেছে, বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলা। রাজ্যে একের পর গুলি চলার ঘটনার প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। আর এরই মধ্যে ফের গুলি চলল জগদ্দলে। শুক্রবার সন্ধে সাতটার কিছু আগে জগদ্দলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম রমজান আলি ওরফে পৌউয়া। ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দলের রুস্তম গুমটি এলাকায়। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে স্থানীয় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাইকে চেপে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। খুব কাছ থেকে রমজান আলিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই যুবকের। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রমজানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবক তার বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তার ধারে বসেছিল। হঠাৎ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রমজানের গলার নীচে গুলি লাগে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছছে জগদ্দল থানার পুলিশ এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট অজয় ঠাকুর। তনে ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এই বিষয়ে ভাটপাড়া পুরসভার উপপুরপ্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন, “খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। কঠোর পদক্ষেপ করে আততায়ীকে গ্রেফতার করতে। তবে এই এলাকাটি আমার এলাকার মধ্যে পড়ে না। এটি জগদ্দল পুরসভার মধ্যে পড়ে। তবে যেটুকু খবর পেয়েছি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা তদন্ত না করে বলতে পারবে না প্রশাসন। তবে এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।” উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছিলেন, বিগত ছয় মাসে ব্যারাকপুর এলাকা থেকে ২০০-র বেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের।