AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Panihati: ‘মেয়েটাকে শেষ করে দিল…’, প্রেমে রাজি না হওয়ায় নাবিকাকে মারধরের অভিযোগ প্রেমিকের পরিবারের, অপমানে আত্মঘাতী কিশোরী

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পৌরসভার অন্তর্গত ইন্দিরা নগর এলাকায় বাসিন্দা। বছর ষোলোর নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিল এলাকার যুবক বিদ্যুৎ বিশ্বাস।

Panihati: 'মেয়েটাকে শেষ করে দিল...', প্রেমে রাজি না হওয়ায় নাবিকাকে মারধরের অভিযোগ প্রেমিকের পরিবারের, অপমানে আত্মঘাতী কিশোরী
পানিহাটিতে মৃত্যুImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2025 | 11:17 AM
Share

পানিহাটি: প্রেমে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন প্রেমিকা। সেই কারণে তাঁকে শাস্তি দিতে হাজির প্রেমিক। বাড়িতে ঢুকে পরিবার সহ প্রেমিকাকে মারধরের অভিযোগ। অসম্মানে আত্মঘাতী প্রেমিকা। এলাকায় উত্তেজনা। মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ। পলাতক প্রেমিক ও তার বাবা মা। গ্রেফতার এক ব্যক্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পৌরসভার অন্তর্গত ইন্দিরা নগর এলাকায় বাসিন্দা। বছর ষোলোর নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিল এলাকার যুবক বিদ্যুৎ বিশ্বাস। কিন্তু প্রেমে রাজি হয়নি ওই নাবালিকা। ব্যাস তাতেই পেতে হল শাস্তি। অভিযোগ, মেয়েটির বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে প্রেমিক বিদ্যুৎ বিশ্বাস ও তাঁর বাবা-মা দিদি মিলে সেই নাবালিকার বাড়ির ভিতর ঢুকে তাকে মাটিতে ফেলে বেধরক মারধর করে অভিযোগ। এমনকী, আত্মহত্যার প্ররোচনাও দেয় বলে অভিযোগ।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয় তাঁদের মেয়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ইন্দিরা নগর এলাকায়।নাবালিকার মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক সহ তার বাবা-মা পলাতক। অভিযুক্তের দিদি মেঘা দাসকে গ্রেফতার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

মৃতের মা বলেন, “ছেলে-ছেলের মা-ছেলের বাবা-ছেলের দিদি, এই চারটে প্রাণী মিলে আমার মেয়েকে শেষ করেছে। মেয়েকে মেরেছে, শেষ করেছে। ওই ছেলেটা আমার মেয়েকে ভালবাসত। তবে মেয়ে যখন জানতে পেরেছে ছেলেটা ভাল না। সেই সময় ও বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু ছেলেটা ছাড়েনি। এরপর আমাদের বাড়িতে ঢুকে মেয়েটাকে শেষ করে দিন।”