বসিরহাট: বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Elections)। ভোটের ময়দানের মাটি শক্ত করতে এখন থেকে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। এদিকে এরমমধ্যেই বসিরহাটে সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় অক্সিজেন পেল শাসক শিবির (Trinamool Congress) । ভোটে জেতার পরই খুশির জোয়ার শাসক শিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
বসিরহাটের ১নং ব্লকের নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া কৃষি উন্নয়ন সমিতির সমবায় নির্বাচন ছিল। এই নির্বাচনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল তৃণমূল। বিরোধীরা কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ার কারণে ৯টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এই সমবায় তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দখলে রাখল। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এই সমবায় উন্নয়ন সমিতির আসন ছিল ছটি। শেষ নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবারে সেই আসনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯টি। কিন্তু তাতে ঘাসফুল শিবিরের জয়ের ধারায় কোনও ব্যাঘাত পড়েনি। এবারেও অব্যাহত জয়ের ধারা। ৯টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় করল শাসক শিবিরের মনোনীত প্রার্থীরা।
ভোটে বড় জয়ের পর এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে মাততে দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মন্ডল, নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাহারব মন্ডল, তৃণমূলের নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হামিদ গাজী সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বদের। তাঁদের সাফ দাবি, তৃণমূলের নেতৃত্বে চারিদিকে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে তাই হেরে যাওয়ার ভয়েতে কেউ মনোনয়ন জমা দেয়নি।
উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মন্ডল বলেন, “এটা বরাবরই তৃণমূলের দুর্গ। আমরাও এই ভোটে চেয়েছিলাম বিরোধীরা এগিয়ে আসুক। কিন্তু, বিরোধীদের এখানে সংগঠন নেই। কোনও অস্তিত্ব নেই। পার্টি অফিস নেই, কর্মী নেই। কিছুই নেই। বিজেপি হোক বা সিপিএম, কংগ্রেস প্রার্থী দিক এখানে আমরা চেয়েছিলাম। কাউকে ভয় দেখানো হয়নি। তারপরেও কেউ প্রার্থী দেয়নি। এই পঞ্চায়েত এলাকা বরাবরই তৃণমূলের দুর্গ। সেই ধারা অব্যাহত রইল।মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে স্বাস্থ্যসাথী সহ একাধিক প্রকল্পের উন্নয়নের এটা ফল। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তামাম বাংলাতেও এই ফল দেখতে পাওয়া যাবে।”
তবে কয়েকদিন আগে উল্টো ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল নন্দকুমারে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে নন্দকুমার-বহরমপুর কো অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি প্রাইভেট লিমিটেড নির্বাচন ছিল। সেখানে ৬৩ টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল তৃণমূল। যদিও পরবর্তীতে সবকটি মনোনয়নই প্রত্যাহার করে নেয়। সবক’টি আসনেই জয়ী হল পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও কমিটি। এই কমিটিতে বাম-বিজেপি একযোগে রয়েছে বলে খবর।