P. C. Sorcar Jr. : ‘ঈশ্বরকে বলব যা শাস্তি দেওয়ার দাও, কিন্তু বাংলায় আর জন্ম দিও না’, কেন এমন বললেন পিসি সরকার জুনিয়র?

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 10, 2022 | 7:18 PM

P. C. Sorcar Jr. : অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তান আহহ্বাক এসপি সিনহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। যা নিয়েও তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

P. C. Sorcar Jr. : ‘ঈশ্বরকে বলব যা শাস্তি দেওয়ার দাও, কিন্তু বাংলায় আর জন্ম দিও না’, কেন এমন বললেন পিসি সরকার জুনিয়র?

Follow Us

বারাসত: ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে (Loksabha Election) বিজেপির (BJP) টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে। তবে জয় আসেনি। এদিকে ভোট প্রচারে সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়। বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার চার্জশিট তুলে বারাসত আদালতে আসতে দেখা যায় প্রদীপচন্দ্র সরকার ওরফে পিসি সরকার জুনিয়রকে(P. C. Sorcar Jr.)। এখানেও এসেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় তাঁকে। তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে তিনি বলেন, “ঈশ্বরকে বলব, আমাকে যা শাস্তি দেওয়ার দাও কিন্তু এই বেঙ্গলে আর জন্ম দিও না। এই ধরনের লোকেরা যদি থাকে, আমি আর এ দেশে জন্মাব না। কারণ এটা চোরেদের সাম্রাজ্য হয়ে গিয়েছে।” এ মন্তব্য নিয়েই জোরদার চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে ২০১৪ সালের ভোট প্রচারে বেরিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই নানা চমকপ্রদ কথা বলতে শোনা যায় প্রদীপচন্দ্রকে। তিনি নিজে একজন ম্যাজিশিয়ান, তাই তিনি সমস্ত চোর-দুর্নীতিবাজদের ভ্যানিশ করে দেবেন বলে ভোট প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। এবার সেই তিনিই রাজ্যজোড়া দুর্নীতির অভিযোগে নতুন করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তান আহহ্বাক এসপি সিনহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন অশোক সাহাও। যা নিয়েও বেড়েছে চাপানউতর।

তবে গত বছর পিসি সরকারের বাড়িতে হামলা চালায় সিবিআই। তাঁর মেয়ের সামনেই মুকুন্দুপুরের বাড়িতে চলে তল্লাশি। যা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছিল। সূত্রের খবর, টাওয়ার গ্রুপ অব কোম্পানির ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডার থাকার সময় তাঁর অ্যাকাউন্টে হওয়া একাধিক লেনদেন নিয়ে বেড়েছিল ধোঁয়াশা। সে সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্তেই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

 

Next Article