পুরসভার স্ট্যাম্প ও প্যাড আনতেন, ভ্যাকসিন দেননি! পানিহাটি ভ্যাকসিন কাণ্ডে দাবি বিপ্লবের
Panihati Vaccine Case: পানিহাটি ভ্যাকসিন কাণ্ডে (Panihati Vaccine Case) নয়া মোড়। পুলিশি জিজ্ঞাসায় কার্যত অভিযুক্ত চিকিৎসক স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি পুরসভার প্যাড ও স্ট্যাম্প আনতেন কাজের জন্য। যদিও চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্রর দাবি, ক্লিনিক থেকে কাউকেই ভ্যাকসিন দেননি তিনি।
পানিহাটি: পানিহাটি ভ্যাকসিন কাণ্ডে (Panihati Vaccine Case) নয়া মোড়। পুলিশি জিজ্ঞাসায় কার্যত অভিযুক্ত চিকিৎসক স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি পুরসভার প্যাড ও স্ট্যাম্প আনতেন কাজের জন্য। যদিও চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্রর দাবি, ক্লিনিক থেকে কাউকেই ভ্যাকসিন দেননি তিনি।
পানিহাটি টিকা চক্রের পর্দাফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযুক্ত পুর চিকিত্সক বিপ্লব রুদ্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় খড়দহ পুলিশ। খড়দহ থানায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের জেরার মুখে পানিহাটি ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক দাবি করেন তাঁর পলিক্লিনিক থেকে কোনও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। তবে তিনি স্বীকার করে নেন যে পানিহাটি মিউনিসিপালিটি থেকে প্যাড এবং স্টাম্প নিয়ে আসতেন কাজের জন্য। তবে কোনওভাবে তিনি ভ্যাকসিন কাণ্ডে জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি। জানান, নিজের ক্লিনিকে কাউকে কোনওদিন ভ্যাকসিন দেননি। তিনি শুধু বিভিন্ন ভ্যাকসিন ক্যাম্পে যেতেন।
এখন প্রশ্ন হল পুরসভার স্টাম্প আর প্যাড দিয়ে তবে কী করতেন? পুলিশের জেরায় ধীরে ধীরে সব কিছু খোলসা হয়ে যাবে বলে দাবি সূত্রের। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
কসবার দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর শনিবার টিকা কেলেঙ্কারির হদিশ মেলে পানিহাটিতে। ৩০০টাকায় ভ্যাকসিন, তাও আবার পুরসভার স্ট্যাম্প দিয়ে অরজিন্যাল প্যাডে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। টিকাকরণ পর্যন্ত কারোর কোনও সন্দেহ হয়নি। গণ্ডগোল হয় সার্টিফিকেট পাওয়ার পর। TV9 বাংলায় এই খবর সম্প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্রকে সাময়িকভাবে আটক করা হলেও পরে ছেড়েও দেওয়া হয় তাঁকে। প্রশ্ন উঠছে, কেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল? তিনি এই টিকা কোথা থেকে পেলেন? তিনি পুর চিকিৎসক, তাহলে কি কোনওভাবে সেখান থেকেই টিকা সরিয়েছিলেন? কিন্তু শনিবার রাতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন? কারণ বড় অদ্ভূত।
জেলাশাসক নিজেই জানিয়েছেন, পানিহাটি ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক নাকি থানায় গিয়ে নিজের প্যাডে লিখিত বয়ান দিয়েছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক লিখিত জানিয়েছেন, তাঁর চেম্বারে কোনও টিকাই দেওয়া হয়নি। এরপরই তাঁকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে! এদিকে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে একেের পর এক তথ্য। আরও পড়ুন: পানিহাটি পর্দাফাঁস: স্রেফ একটা লিখিত বয়ানে ‘মুক্ত’ অভিযুক্ত! কী লিখেছিলেন চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্র?