বনগাঁ: অ্য়াম্বুলেন্স চালককে মারধরের অভিযোগ। আর তার জেরেই ব্যাহত হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। গত প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পেতে গিয়ে কার্যত নাকানি-চোবানি খেতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। অভিযোগ তেমনই। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে এই দৃশ্যই ধরা পড়ল। উল্লেখ্য, রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। একইসঙ্গে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেখানে হঠাৎ করে দু’দিন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার এমন বেহাল অবস্থা হওয়ায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন রোগীর পরিজনরা।
চিকিৎসার প্রয়োজনে অনেককেই কলকাতায় স্থানান্তর করতে হয়। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই। যেমন এক রোগীার পরিজন জানালেন, তাঁর এক আত্মীয়কে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল গতরাতে। আজ তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পেতে সমস্যা হওয়ায় শেষে প্রাইভেট গাড়িতে করে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরজি করে।
এই সমস্যা মেটাতে বনগাঁর অ্য়াম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বনগাঁ শহর আইএনটিটিইউসির নেতৃত্ব এক প্রস্থ বৈঠকও করেছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এরপরও সমাধানসূত্র অধরা বলেই জানা যাচ্ছে। আইএনটিটিইউসির বনগাঁ শহর কমিটির সভাপতি সমীর ঘোষ চৌধুরী জানাচ্ছেন, অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারিকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। তবে আইএনটিটিইউসির তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও কিছুর জন্যই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা অচল করা যাবে না।
এদিকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াইয়ের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে মারধরের ঘটনা নিয়ে তাঁর কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তাঁকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে।