নৈহাটি: সামনেই কালীপুজো। আর এই পুজো মানেই নৈহাটির বড় মা। প্রতিবছর লাখো-লাখো ভক্তের সমাগম হয় এখানে। শুধুমাত্র এক ঝলক দেবীকে দেখবেন বলে। এবার বড় মায়ের এই পুজো নিয়ে বিশেষ ঘোষণা কমিটির। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে কেউ যাতে অঞ্জলি দিতে এসে ফিরে না যান তার জন্য বড়ো মা পুজো কমিটি অনলাইনের ব্যবস্থা করছে। ফলে দেশ-বিদেশের সকলেই তার মাধ্যমে অঞ্জলি দিতে পারবেন।
কমিটির দাবি, এই বছর নৈহাটির বড়ো মা-এর পুজোয় ভক্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। প্রতিবার প্রায় এক লক্ষের কাছাকাছি ভক্ত আসেন। এছাড়াও এবার পুজো কমিটি আলাদা কাউন্টার খুলেছেন ভক্তরা যাতে পুজো দিতে পারেন।
ট্রাস্টের সম্পাদক তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পুজো দিই। এখন অ্যাপও চালু হয়েছে। গতবার এক লক্ষের উপরে পুজো হয়েছে। এবার আশা করছি দেড় থেকে দু’লক্ষ পুজো পড়বে। কারণ অনলাইনে সবার কাছ থেকে টাকা নিই না। সবার কাছ থেকে আমরা প্রণামী নিই না। বিদেশ থেকে অনেকেই পুজো দেন। কিন্তু তাঁরা প্রণামী দিতে পারেন না।” তিনি আরও বলেন, “২৪ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত কাউন্টার খুলে দিয়েছি। প্রচুর ভিড় হয়। দর্শনার্থী হিসাবে প্রায় আট লক্ষ লোক আসেন।”
বস্তুত, প্রথমে এটি বাড়ির পুজো ছিল। ভবেশ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রথমে ছোট করেই বড় মা-র পুজো হতো। এরপর ওঁর বন্ধুরা রাস উৎসবের সময় নবদ্বীপ যান। সেখানে বড় প্রতিমা দেখার পর সেই আদলে বড় মা-কে তৈরি করেন। ১০১ বছর আগে উনি ২১ ফুট ১৪ হাতের প্রতিমা তৈরি করান। ২০১২ সালে এই পুজো আমরা শুরু করি। মাকে ১০০ ভরি সোনা ও ২০০ ভরি রূপো মা পরেন। এখানকার মানুষের বিশ্বাস বড় মা সকলের মনের কামনা পূরণ করেন।