ব্যারাকপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি, নানা প্রলোভন, শেষে সহবাস, চলছিল এভাবেই। কিন্ত, আড়াই বছর কেটে গেলেও বিয়ে কিছুতেই করতে চাইছিলেন না কাউন্সিলর। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ যুবতী। কাঠগড়ায় উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার এক কাউন্সিলর। ইতিমধ্যেই ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন পানিহাটির ওই যুবতী। ব্যারাকপুর মহিলা থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। যুবতীর দাবি, যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁর আবার একাধিক বিয়েও রয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই কাউন্সিলর। মিলছে না খোঁজ।
কাউন্সিলরের বাবা যদিও বলছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। উল্টে যে যুবতী অভিযোগ করছেন তাঁকেই মানসিক রোগী বলেও দেগে দিয়েছেন। কিন্তু কোথায় গেল ছেলে? তার কোনও উত্তর তাঁর কাছে নেই। অন্যদিকে অভিযোগকারী যুবতী বলছেন, “ও আগে থেকে আমাকে নোংরা নোংরা মেসেজ পাঠাত। তবে একটা সময়ের পর ওকে আমি মেনে নিই। সম্পর্কেও থাকি। তবে আমি ওর কোনও সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাই। ও বলে কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু কিছুদিন আগে জানা যায় ওনার তিনটে বিয়ে। কিন্তু, পুুরোটাই আমার কাছে অস্বীকার করেছিল। আমি আড়াই বছর ধরে কিছুই জানতাম না। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ বলছে আমরা দেখছি বিষয়টা।”
উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ যদিও বলছেন, অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে দোষীকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। তিনি সাফ বলছেন, আইন আইনের পথেই চলবে। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের শাস্তি হোক তিনিও চাইছেন।