জগদ্দল: জগদ্দলে এখনও চাপা আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে এলাকাবাসীদের মনে। গুলি ঝাঁঝরা করে খুন করা হয়েছে ভিকি যাদবকে। যিনি আবার এলাকার সাংসদের ভাইপোর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত। ভিকি খুনের তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে ফের নয়া আতঙ্ক জগদ্দলে। উদ্ধার হয়েছে এক গাদা তাজা বোমা। জগদ্দলের রাউতায় খুশির মাঠের পাশে পড়ে ছিল ১১টি বোমা। মাঠের ধারে খোলা জায়গায় রাখা ছিল বোমাগুলি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় জগদ্দল থানায়। দ্রুত পদক্ষেপ করে পুলিশও।
জগদ্দল থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই বোমাগুলি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে। ভিকি যাদবকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনায় জগদ্দলবাসীর মনে আগে থেকেই আতঙ্ক দানা বেঁধে রয়েছে। সেই ঘটনার দু’দিনের মধ্যেই ফের বোমা উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীদের মনে।
যে মাঠটি থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে, সেখানে প্রতিদিন এলাকার ছোট বাচ্চারা খেলাধুলো করে। ফলে, যে কোনও সময়ে বড়সড় অঘটন ঘটে যাওয়ারও আশঙ্কা ছিল। গতকালই মুর্শিদাবাদে এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বল ভেবে বোমা হাতে নিয়েছিল এক শিশু। বোমা ফেটে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটেছিল। তিন শিশু গুরুতর আহত হয়েছে বোমা ফেটে। জগদ্দলে মাঠের ধারে বোমা পড়ে থাকার বিষয়টি সময়মতো এলাকাবাসীদের নজরে না এলে, এখানেও অঘটনের আশঙ্কা ছিল।
ভাটপাড়া পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর সুকেশ বিশ্বাসও সেই আশঙ্কা করছেন। বললেন, “একটা বল এসে যদি এখানে (বোমাগুলির মধ্যে) লাগত, যদি ১১টি বোম একসঙ্গে ফেটে যেত, একটা সাংঘাতিক দুর্ঘটনা ঘটে যেত। কেউ হয়ত আবার পুত্রহারা হত।” তাঁর সন্দেহ, আজ দুপুরেই এই বোমাগুলি রেখে দেওয়া হয়েছিল। বললেন, “হয়ত কেউ সাপ্লাই করার কিংবা বিক্রি করার উদ্দেশে এই বোমাগুলি রেখে দিয়েছিল। হয়ত কেউ বোমা বানায়।”