উত্তর ২৪ পরগনা: সাইকেল আরোহী-গাড়ি চালকের বচসার কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল ‘তাঁর’ পক্ষ নেননি। তাই ক্ষুব্ধ আরোহী রাস্তায় ফেলে পেটালেন সরাসরি সেই পুলিশকর্মীকেই। পরবর্তীতে আক্রান্তের শরীরে বসল বটির কোপ! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত টেলিফোন এক্সচেঞ্জ মোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আনতে হয় বিশাল পুলিশবাহিনীকে। আপাতত পুলিশের কব্জায় অভিযুক্ত সাইকেলে আরোহী।
সপ্তাহান্তের দিন হলেও বেশ ব্যস্ত বারাসতের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ মোড়। সেই রাস্তা দিয়েই সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন এক মহিলা সাইকেল আরোহী। মাঝখানে তিনি রাস্তা পেরোনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেই বাধে বিপত্তি। একটি চারচাকা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাওয়ার মত মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাস্তা দিয়ে দেখে গাড়ি না চালানোর অভিযোগ তুলে ওই মহিলা চড় মেরে বসেন। ঠিক সেই সময় ওই রাস্তায় ডিউটি করছিলেন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল অষ্টমী মণ্ডল। দু’পক্ষের বচসা মেটাতে এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু ঘটনাস্থলেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারাসত থানার পুলিশ।
কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগে ওই মহিলাকে আটক করার চেষ্টা করেন তারা। অভিযোগ, ঠিক তখনই চরম মূর্তি ধারণ করেন অভিযুক্ত। এক সিভিক ভলেন্টিয়র যখন তাঁকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে তখন তিনি পাশের একটি দোকান থেকে ধারাল বটি কেড়ে নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হন। মহিলাকে থামাতে ফের এগিয়ে আসেন আক্রান্ত অষ্টমী। তখনই মহিলার হাতে থাকা ধারাল বটিতে গুরুতর জখম তিনি। পরবর্তীতে বিশাল পুলিশবাহিনী দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক করা হয় অভিযুক্তকে।
এ দিকে, আক্রান্ত কনস্টেবল অষ্টমীকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মহিলা সাইকেল আরোহীর দাবি, তিনি কোনও অপরাধ করেননি। তার সাইকেলটির উপরে চারচাকা গাড়িটি উঠে গিয়েছিল। তাই তিনি প্রতিবাদ করছিলেন। কিন্তু পুলিশের তরফে তাকেই দোষারোপ করা হয়। উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মহিলা নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও গোটা ঘটনাকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বারাসাত থানার পুলিশ।