বাগদা: বাংলায় আবার শুরু হয়েছে ভোটের তোড়জোড়। চার কেন্দ্রে উপ নির্বাচন ঘোষণা হতেই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বাগদা বিধানসভা এলাকায় রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা পোস্টার মেরেছে এলাকা। দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে বার্তা দেওয়া হয়েছে সেই পোস্টারে। প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে। সোমবার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। আর মঙ্গলবার সকাল হতেই ওই পোস্টার দেখা গেল এলাকায়।
বাগদার বিধায়ক ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। বছর কয়েক আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও পরে তৃণমূলে ফেরেন তিনি। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে বনগাঁ কেন্দ্রে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছিল। ভোটের আগেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন তিনি। সেই কারণেই উপ নির্বাচন হচ্ছে ওই কেন্দ্রে। কোনও পক্ষই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি এখনও। শুরু হয়েছে জল্পনা। এরই মধ্যে এই পোস্টার ঘিরে শুরু হল রাজনৈতিক তরজা।
দুলাল বর ও হারাধন হালদারের নামে দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘বাগদা বিধানসভায় তৃণমূলের দালাল দুলাল বরকে আমরা চাই না’, ‘বাগদা বিধানসভায় সুদখোর হারাধন হালদারকে আমরা চাই না।’ বিজেপির তরফেই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে দুলাল বরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে হারাধন হালদার জানিয়েছেন তিনি একজন বিজেপি কর্মী, ভোটেও শান্তনু ঠাকুরের হয়ে প্রচার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি এখনও টিকিটের জন্য আবেদন করিনি। যাঁরা রাতের অন্ধকারে পোস্টার মেরেছে, তাঁরা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। তাদেরকে বলব আমার কাছ থেকে মিষ্টি খেয়ে যেতে। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত।”
যেহেতু বাগদা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, তাই অন্তর্কলহ তৈরি করার জন্য বাইরের কেউ এই কাজ করেছে বলে মনে করেন হারাধন। বিরোধীদের চক্রান্ত প্রসঙ্গে বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ কুমার শাহ জানিয়েছেন, দুলাল বর বা হারাধন হালদার তৃণমূল কংগ্রেস করে না, তারা বিজেপির সদস্য, তাই এটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ফল বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।