বসিরহাট: শনিবার সকাল থেকে চোখে পড়ছে পোস্টার। সাদা-কালো পোস্টার ঘিরে বাড়ছে কৌতূহলও। পোস্টারে যাঁর ছবি, তিনি এলাকার বিধায়ক। তাঁর নাম-ধামও লেখা আছে পোস্টারে। পোস্টার সৌজন্যে তৃণমূল কংগ্রেস সম্মানরক্ষা কমিটি। দেওয়া আছে ফোন নম্বরও। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি নিখোঁজ। খোঁজ পাওয়া গেলে যে সংশ্লিষ্ট ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হয়।
বসিরহাট উত্তর বিধানসভার বিধায়ক রফিকুল ইসলামের নামেই এই পোস্টার পড়ল ওই বিধানসভার মুরারিশাহা চৌমাথা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এমনকী ছাড় পেল না তাঁর বাড়ি বা অফিস। বিধায়কের অফিসের সামনে এবং বাড়ির আশপাশেও পড়েছে এই পোস্টার।
বিধায়ক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যে এলাকায় এই পোস্টার পড়েছে সেই হাসনাবাদের তৃণমূল ব্লক সভাপতি এসস্কেন্দার গাজীর দাবি, এটা সিপিএম-এর কাজ। তিনি বলেন, “এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। রফিকুল ইসলাম যেহেতু আগে সিপিএমের সদস্য ছিলেন, তাই সিপিএম-এর পক্ষ থেকে এই পোস্টার মারা হয়েছে বলেই আমরা মনে করছি , এই পোস্টারের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
তবে বিধায়ক রফিকুল ইসলামকে যে এলাকায় দেখা যায় না, এ কথা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই। মেনে নিচ্ছেন এসস্কেন্দার গাজীও। তাঁর দাবি, এলাকায় বিধায়ক খুব কম থাকেন বলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে একটা ক্ষোভ আছে। ব্লক সভাপতি আরও জানাচ্ছেন, গত ৩০ অক্টোবর তৃণমূলের তরফে একটি বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। বিধায়কের বাড়ির পাশে হওয়া সত্ত্বেও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বিধায়ক।
তবে সিপিএমের স্পষ্ট বক্তব্য, এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ছাড়া আর কিছুই নয়। হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা সিপিএমের প্রাক্তন জেলা কমিটির সদস্য সুবিদ আলি গাজী বলেন, “এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। সামনেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। রফিকুল ইসলাম যাতে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী না হতে পারেন, তার জন্য এই ক্ষোভ তৃণমূলের অন্দরেই। বাম নেতার বক্তব্য, সিপিএম এরকম রাজনীতি করে না।”