উত্তর ২৪ পরগনা: সেদিন প্রথম থেকেই এই বিষয়টাতে অত্যন্ত পুলিশি তৎপরতা ছিল নজিরবিহীন। কীভাবে সেদিন ময়নাতদন্তের পরই আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারীদের ভিড় ঠেলে তিলোত্তমার দেহ বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল পুলিশ। তখনও বাবা-মাই এসে পৌঁছতে পারেননি। তারপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেহ সৎকার। সেদিন তিলোত্তমার দেহের আগেও শ্মশানে লাইনে ছিল আরও দুটো দেহ। কিন্তু পুলিশ সেদিন খুব তাড়া দেখিয়েছিল। তিলোত্তমার দেহ আগেই দাহ করার নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। তাই সেই মোতাবেক কাজ করেছিলেন পানিহাটি শ্মশানের ডোমও। তিলোত্তমার দেহ যে তড়িঘড়ি দাহ করা হয়েছিল, স্বীকার করলেন পানিহাটির শ্মাশান ঘাটের কর্মীর। তাঁদের দাবি, আগে থেকে পুলিশ গিয়ে বলেছিল, একটি দেহ আসবে, সেটা আগে দাহ করতে হবে। তখনও শ্মশানের কর্মীরা বুঝেই উঠতে পারেননি আসল বিষয়টা।
পানিহাটি শ্মশানে তিলোত্তমার দেহের আগে দুটি মৃত দেহ পড়ে থাকা স্বত্তেও তিলোত্তমা দেহ তড়িঘড়ি দাহ করেছিল। পানিহাটি শ্মশানের ম্যানেজার ভোলানাথ পাত্র বলেন, “এই জায়গায় ভিড় জমে গিয়েছিল। তার আগে বডি ছিল। লোকাল লোক ছিল, যত তাড়াতাড়ি এলাকা ফাঁকা করা যায়, পুলিশ সেটাই চেষ্টা করছিল। পুলিশ আগেই আমাকে ইনফর্ম করে রেখেছিল। বলেছিল, একটা বডি আসছে, তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করতে হবে।”
অর্থাৎ আগে থেকেই ফোন করে জানিয়ে রাখা ছিল। শেষবেলায় তিলোত্তমার জন্য ভিভিআইপি ব্যবস্থা। কেন? ঘটনার গুরুত্বের কথা ভেবে, নাকি অন্য কোনও কারণ? রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “হ্যাঁ উনি বলছিলেন, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা উচিত। তারপরই ফোনে বলছেন, শুভেন্দুবাবু আমার বডি নিয়ে চলে যাচ্ছে, আমি আগে যাই যাই, বডি আমার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আর নান্টু ঘোষ… ওকে আগে গ্রেফতার করা উচিত। ওকে আর মিঠু মজুমদারকে। ও আগে কাঠ রেডি করে রেখেছে।” প্রশ্ন তুলেছেন বামেরা। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এফআইআর রাত সাড়ে এগারোটা। তার আগে শ্মশানে বডি চলে গিয়েছে। এটা স্পষ্ট, আগে কোনওভাবে বডিটাকে পুড়িয়ে দিতে পারলে বাঁচে।” হাসপাতাল থেকে শ্মশান, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন মিটছে না তিলোত্তমার বাবা-মায়ের মধ্যে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)