Road Accident: ‘খালি গাঁজা খায় আর ফোন ঘাঁটে’, দুই কিশোরের মৃত্যুতে তেঘড়িয়া মোড় অগ্নিগর্ভ
Barrackpore: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সাইকেলে দুই কিশোর কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের মাঝেরহাটির দিক থেকে মুরাগাছার দিকে যাচ্ছিল। তেঘড়িয়া মোড়ের কাছে একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি পিছন থেকে এসে সাইকেলটিতে ধাক্কা মারে। এরপরই সামাল দিতে না পেরে রাস্তায় পড়ে যায় তারা।
ব্যারাকপুর: কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল দুই কিশোরের। এই ঘটনাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পথদুর্ঘটনায় দুই সাইকেল আরোহীর মৃত্যুকে সামনে রেখে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় ঘাতক লরিটিতে। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের তেঘড়িয়া মোড় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এই ঘটনার পর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সাইকেলে দুই কিশোর কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের মাঝেরহাটির দিক থেকে মুরাগাছার দিকে যাচ্ছিল। তেঘড়িয়া মোড়ের কাছে একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি পিছন থেকে এসে সাইকেলটিতে ধাক্কা মারে। এরপরই সামাল দিতে না পেরে রাস্তায় পড়ে যায় তারা।
এরপরই তাদের একেবারে পিষ্ট করে দিয়ে বেরিয়ে যায় লরিটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিমতা থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ঘাতক লরিটিতে ভাঙচুর চালায়। চালক কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। তখন এই রাস্তায় বড় গাড়ি ঢোকার কথাই নয়। ‘নো এন্ট্রি’ হয়ে থাকে রাত ৯টা ১০টা পর্যন্ত। তাঁদের প্রশ্ন, কী করে ট্রাফিক পুলিশের নজর এড়িয়ে লরিটি এখানে ঢুকল? এই দুর্ঘটনা নতুন নয় বলেও দাবি এলাকার লোকজনের। তাঁদের বক্তব্য, বারবার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারপরও কাজ হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতদের একজনের নাম সাগর ঘোষ। বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা সে। দ্বিতীয়জনের এখনও পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠায়। প্রতিবাদে এদিন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির আলি বলেন, “এখানে সিভিক ভলান্টিয়াররা বসে ফোন ঘাঁটে। ডিউটিতে এসেই ওদের কাজ হল ইউনিফর্ম পরে একটা শেড করা আছে, সেখানে গিয়ে বসে পড়া। গাঁজা খায় আর ফোন ঘাঁটে। সরকার কি ওদের এর জন্য টাকা দিচ্ছে? ডিউটি করবে না, এসব করে। সব দোষ পুলিশের। ওনারা আগে থেকে একটু কড়া পদক্ষেপ করত এটা তো হত না।”