Sandeshkhali: ‘সন্দেশখালির মানুষকে চমকালে…’, শাহজাহানদের গুরুত্ব বোঝালেন বিধায়ক

Sourav Dutta | Edited By: Soumya Saha

Jan 27, 2024 | 9:31 AM

Sandeshkhali: সুকুমার মাহাতো শুক্রবার জমায়েতকে ভোকাল টনিক দিতে গিয়ে বললেন, 'বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে। বিজেপি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তৃণমূল করলেই বাড়িতে এজেন্সি যাবে। সেই ভয় সন্দেশখালির মানুষ পায় না। আমরা জানি এখানে শেখ শাহজাহান বা অন্যান্য নেতারা মানুষকে সংগঠিত করে রেখেছেন। তাই সন্দেশখালির মানুষ ভয় পাবে না।'

Sandeshkhali: সন্দেশখালির মানুষকে চমকালে..., শাহজাহানদের গুরুত্ব বোঝালেন বিধায়ক
সন্দেশখালির বিধায়ক
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

সন্দেশখালি: শুক্রবার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল, সভা। আর অন্যদিকে একই মহকুমার অন্তর্গত সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূলের সভা। প্রতিবাদ সভা। ইস্যু অনেক। একশো দিনের বকেয়া। আবাস। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। এসবের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারেরও অভিযোগে উঠল প্ল্যাকার্ড। কেউ সঙ্গে লিখে নিয়ে এসেছেন, ‘শেখ শাহজাহান নয়নের মণি।’ প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখলেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। সেখানে বিধায়কের বক্তব্যে উঠে এল কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ।

সুকুমার মাহাতো এদিন জমায়েতকে ভোকাল টনিক দিতে গিয়ে বললেন, ‘বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে। বিজেপি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তৃণমূল করলেই বাড়িতে এজেন্সি যাবে। সেই ভয় সন্দেশখালির মানুষ পায় না। আমরা জানি এখানে শেখ শাহজাহান বা অন্যান্য নেতারা মানুষকে সংগঠিত করে রেখেছেন। তাই সন্দেশখালির মানুষ ভয় পাবে না।’ এরপর তাঁর আরও সংযোজন, ‘লোহাকে যত পোড়ানো হয়, লোহা তত ইস্পাত হয়। সন্দেশখালির মানুষকে যত পোড়াবে, তত ইস্পাত হবে। তত শক্তিশালী হবে।’ ঝাঁঝালো ভাষায় বিজেপিকে নিশানা করে বললেন, ‘সন্দেশখালির মানুষকে যত চমকাবে, তত সন্দেশখালির মানুষ প্রতিবাদ করবে, তত বিজেপি ধ্বংস হবে। এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।’

সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় চলতি মাসেই দু’টো বড় অভিযান ইডির। প্রথম দফায় তুমুল জনরোষের মুখে পড়ে পিছু হটতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের। আক্রান্ত হয়েছিল ইডির টিম। রক্ত ঝরেছিল এজেন্সির অফিসারদের। সেই ঘটনার ১৯দিন পর ফের ইডির টিম আসে সন্দেশখালিতে। শেখ শাহজাহানের ডেরায় ঢুকে বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

ইডির সেই অভিযানের ৪৮ ঘণ্টা পর তৃণমূলের এই প্রতিবাদ সভা। সেখানে ১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পের টাকা, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মতো ইস্য়ুগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগও উঠে আসল। সভার পরে টিভি নাইন বাংলাকে বিধায়ক বললেন, ‘ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে তো আমাদের ব্যানারও দেখেছেন। কিন্তু এখানকার সাধারণ মানুষ, যাঁরা নিজেদের অন্ন রোজগারের জন্য কাজ করেছেন, তাঁরা দু’বছর ধরে টাকা পাচ্ছেন না। তাই আজ এত মহিলা এসেছেন। তাঁরা নিজেদের অধিকার চাইছেন।’ সভা শেষে অবশ্য সুর কিছুটা নরম বিধায়কের। বললেন, ‘এখানে ইডি-সিবিআই বিষয় নয়। তারা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে। হাইকোর্ট যেভাবে নির্দেশ দেবে, তা সকলেই মেনে নেবে।’

Next Article