কলকাতা: ভোটের মধ্যেই ফের সরগরম সন্দেশখালি। শুক্রবার যখন দ্বিতীয় দফার ভোট চলছে উত্তরবঙ্গে তখন সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। এরইমধ্যে এনএসজি মাঠে নামতেই নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। কিন্তু, কেন সন্দেশখালিতে দেখা গেল এনএসজি কমান্ডোদের? প্রসঙ্গত, এনএসজি-র তিনটি শাখা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বম্ব ডিসপোজাল এবং ডিটেকশন স্কোয়াড। এই স্কোয়াডের লোকজন আগেই পা রেখেছিল শাহজাহান গড়ে। বিকাল ৪টে নাগাদ আরও জওয়ানদের অত্যাধুনিক সব অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাঠে নামতে দেখা যায়।
সন্দেশখালিতে যেখানে অস্ত্র রয়েছে সেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, সেই বিস্ফোরক নিরাপদে সংগ্রহ করা, নিরাপদে নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া এবং সেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে এনএসজির বম্ব ডিসপোসল এবং ডিটেকশন স্কোয়াড। নামানো হয়েছে রোবোটও।
এর আগে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেও বর্ধমান শহরের বাদশাহী রোডে যে বিপুল পরিমাণ আইইডি পাওয়া গিয়েছিল, সেই আইইডি-ও এনএসজি-র বিশেষজ্ঞরা সংগ্রহ করেছিলেন। নিরাপদে তা দামোদরের চড়ে নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। এছাড়াও যে কোনও বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা, এনএসজি বিশেষজ্ঞদের ডাকেন। পদক্ষেপের জন্য নেওয়া হয় পরামর্শ। কোন পদ্ধতিতে এই বোমা তৈরি হয়েছে, তার অভিঘাত কতটা হতে পারে, নিষ্ক্রিয় করার সময় কী কী সাবধানতা নেওয়া প্রয়োজন তা জানতে মূলত এনএসজির এই বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়ার্ডের সাহায্য নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক বেঙ্গালুরুতে ক্যাফে বিস্ফোরণেও এনএসজির ডাটা সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কী ধরনের আইডি ব্যবহার করা হয়েছে এবং কি ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে সেটা জানতে পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের। এ ক্ষেত্রেও সন্দেশখালিতেও সেই সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।