Sandeshkhali: ‘আমার নাইটি ধরে টেনেছে, লাথি মারতে গিয়ে পুলিশের প্যান্টও ফেটেছে’, হাড়হিম অভিজ্ঞতা সন্দেশখালির মহিলাদের
Sandeshkhali: প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "মহিলাদের পোশাক ধরে যদি পুলিশ টানে এটা শুনতেও খারাপ লাগছে। তল্লাশি সময় যদি মহিলা পুলিশ থাকত তাহলে হয়ত এই অভিযোগগুলো শুনতে হত না। কেউ যদি সত্যি এই সব করে থাকেন অত্যন্ত নিন্দনীয়। উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা এই নিয়ে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবেন।"
সন্দেশখালি: নতুন করে সন্দেশখালির সিতোলিয়া গ্রামে উত্তেজনা। এলাকার মহিলারা এবার পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুললেন। শুক্রবার গভীর রাতে বিজেপি কর্মী ভুজঙ্গ দাসের বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এই হামলায় পলিশি মদতের অভিযোগ করছেন বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, ভুজঙ্গ দাসের মাকে মারধর করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ভুজঙ্গ দাসের পরিবারের এক সদস্য বললেন, “পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতী এসেছিল। গেটে লাথি মারছিল। আমার কোলের বাচ্চাকে ফেলে দিয়েছিল। এমনকী পুরুষ পুলিশ আমার হাতের পলা ভেঙেছে। চুল টেনেছে, নাইটি ধরে টেনেছে। তারপর গ্রামের লোক ঘটনাস্থলে আসতেই ওরা পালিয়ে যায়। এমনকী একটা পুলিশের তো লাথি মারতে গিয়ে প্যান্ট ফেটে গিয়েছে।” আরও এক মহিলা পুলিশের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ জানালেন। বললেন, “কিছু পুলিশ এসেছে। আমাদের মারধর করে হাতে পলা ভেঙে দিয়েছে। আমরা ন্যায় চাইছি। পুলিশেরই শাস্তি চাইছি।”
প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মহিলাদের পোশাক ধরে যদি পুলিশ টানে এটা শুনতেও খারাপ লাগছে। তল্লাশি সময় যদি মহিলা পুলিশ থাকত তাহলে হয়ত এই অভিযোগগুলো শুনতে হত না। কেউ যদি সত্যি এই সব করে থাকেন অত্যন্ত নিন্দনীয়। উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা এই নিয়ে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবেন।”
এ দিকে,আজ এই ঘটনারই প্রতিবাদে ঘটনাস্থলে যেতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারের সঙ্গে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। যদিও ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। অর্চনা মজুমদার বলেছেন, “আমরা বন্দুক-বোমা নিয়ে আসিনি। মাত্র চারজন এসেছি। আমরা শুধু অত্যাচারিত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এখানে রাত্রিবেলা আমাদের কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ ঢুকছে। মারধর করছে। মেয়েদেরও মারছে। আমরা দেখা করতে যাব না? আমাদের কর্মীদের উপর কোনও ভাবেই অত্যাচার আর সহ্য করব না।”