Calcutta High Court: তৃণমূল নেতার মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে হাততালি দেওয়ায় গ্রেফতার মামলায় সিবিআই তদন্তই বহাল
Calcutta High Court: প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, "প্রথম দিন শুনেই আরজি করে সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশ আসেনি আদালতে। রাজ্যের দায়িত্ব এটা দেখা আইন মেনে আদৌ কাজ হয়েছে কিনা। রাজ্য তাকে সমর্থন করতে পারে না।"
কলকাতা: তৃণমূল নেতার মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে হাততালি দেওয়ায় গ্রেফতার। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল থাকল। কারা ওই পুলিশ ছিলেন, তাদের সনাক্ত করতে হবে সিবিআইকে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সিঙ্গল বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের অন্তর্বতী স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আসে রাজ্য। সেই আবেদন খারিজ প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চে।
রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত বলেন, “দুজন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট পকসো যুক্ত আছে বলে পকসো কোর্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।” পুলিশ সেভাবে লক আপে কীভাবে অত্যাচার করবে বলে প্রশ্ন তোলেন এজি।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “এটা আরজি করের সঙ্গে যুক্ত? তাদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে?” এজি বলেন, “সাংসদের মেয়েকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ। জেলের মধ্যে কোন অত্যাচার হয়নি। পকসো ধারা দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনেই সিবিআই তদন্ত কীভাবে?”
প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “প্রথম দিন শুনেই আরজি করে সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশ আসেনি আদালতে। রাজ্যের দায়িত্ব এটা দেখা আইন মেনে আদৌ কাজ হয়েছে কিনা। রাজ্য তাকে সমর্থন করতে পারে না।”
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আপনার অফিসার এত আত্মবিশ্বাসী তাহলে সিবিআই কে দিয়ে দিন। এটা কি গ্রেফতারের জোরাল কারণ হতে পারে কি ? প্রাথমিকভাবে যে কারণে মামলাকারীদের তুলে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।”
মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “মামলাকারীকে এতটাই মারা হয় যে, বিচারক এক্স করার পরামর্শ দেন। এফআইআরে প্রথমে নাম ছিল না। তাও কারও ইগো সন্তুষ্ট করতে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ডেপুটি পুলিশ সুপারের আচরণ একপেশে ছিল।”
এরপরই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিঙ্গল বেঞ্চের অর্ডারে কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। তাঁর মন্তব্য, ” মামলাকারীর শারীরিক নির্যাতন মেডিক্যাল রেকর্ড দেখে অস্বীকার করা যায় না।”