School Teacher: ‘আমাকে মেরেছে…’, ‘নানা আমাকেই মেরেছে’, হেডস্যারের সঙ্গে প্রকাশ্যে শিক্ষিকার তুমুল আকচা-আকচি
School Teacher: শিক্ষিকার অভিযোগ, তার আবেদন পত্র ছুড়ে ফেলে দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, তাঁকে চড় মারতে যান তিনি। তাঁকে লাথি মারা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা।
বারাসত: ছুটি চাইতে গেলে সহ শিক্ষিকাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, এমনকী চড় ও লাথি মারার চেষ্টা! এমনই অভিযোগ উঠল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে ছাত্রদের সামনেই শুরু হয়ে গেল প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকার আকচা-আকচি। একজন বলছেন, উনি আমাকে মেরেছেন তো আর একজন পাল্টা বলছেন, না না উনিই আমাকে মেরেছেন এই নিয়েই বৃহস্পতিবার উত্তাল হল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের গাড়াপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা।
এদিন সকাল থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ঘরে তালা লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সহ শিক্ষিকারা। বারবার তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। সহ শিক্ষিকাকে ছুটি দিতে অস্বীকার করার পরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত।
গাড়াপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষিকা রাখি মণ্ডলের অভিযোগ, বুধবার ছুটির জন্য আবেদন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কুমার ব্যাপারীর কাছে। শিক্ষিকার অভিযোগ, তার আবেদন পত্র ছুড়ে ফেলে দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, তাঁকে চড় মারতে যান তিনি। তাঁকে লাথি মারা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা।
এই বিষয়ে তিনি বনগাঁ থানায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর বৃহস্পতিবার স্কুল খুলতেই গণ্ডগোল চরমে ওঠে। সহ-শিক্ষিকারা ঘরে তালা ঝোলানোর জন্য গেলে তাঁদের তালা ঝোলাতে বাধা দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। অভিযোগকারী শিক্ষিকা বলতে থাকেন, ‘আমাকে মেরেছে।’ পাল্টা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলতে থাকেন, তাঁকেই মারা হয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযোগকারী সহ-শিক্ষিকা জানিয়েছেন, তিনি এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চান। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কুমার ব্যাপারী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “স্কুলের স্বার্থেই ছুটি দেওয়া হয়নি। আমি কাউকে মারিনি। মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা আছে। দেখে নিন। মারধর করতে যাব কেন? উল্টে আমাকেই গালে মেরেছে।”