Xi Jinping: ‘খুবই দুঃখিত…’, ট্রাম্পকে টপকে বাইডেনকে এ কী চিঠি পাঠালেন শি জিনপিং?
Xi Jinping: ট্রাম্পকে টপকে বাইডেনকে বার্তা পাঠালেন চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। বললেন, আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্কের কথাও। আর তার জেরেই গুঞ্জন ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে।
নয়াদিল্লি: বছর শেষের আগে ট্রাম্পকে টপকে বাইডেনকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। সদ্য সমাপ্ত আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে বিরাট মার্জিনে হারিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মার্কিন মসনদের দায়িত্বভার পেতে এখনও কিছুটা সময় বাকি। আর তার আগেই এল চিন থেকে বিশেষ বার্তা।
ট্রাম্পকে টপকে বাইডেনকে বার্তা পাঠালেন চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। বললেন, আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্কের কথাও। আর তার জেরেই গুঞ্জন ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। কিন্তু কী রয়েছে সেই বার্তায়?
জানা যায়, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রয়াণে সমবেদনা জানিয়েছেন চিনের রাষ্ট্রপ্রধান। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কার্টারের প্রয়াণের কথা একেবারেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না শি জিনপিং। তাঁর পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কীভাবে কার্টার চিন-আমেরিকার সম্পর্ককে মজবুত করে তুলেছিল। শুধু তাই নয়, ঠান্ডা যুদ্ধে পাশে দাঁড়ানো এক সময়ের তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে চিনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিল আমেরিকা, সেই কথাও উল্লেখ করা হয় এই চিঠিতে।
এমনকী, চিনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও অর্থনৈতিক বিপ্লবের মুখ ডেং জিয়াওপিংয়ের সময়েও চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের সেতুবন্ধন করতে সাহায্য করেছিলেন কার্টারই। পরবর্তীতে সেই সুবাদেই কার্টারের সঙ্গে দেখা করতে ১৯৭৯ সালে নিজে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন চিনের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডেং জিয়াওপিং।
অবশ্য, পররাষ্ট্র সম্পর্কে জোর দিলে কার্টার রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন নিজে কখনওই চিন সফরে যাননি। ১৯৪৯ সালে রাজনীতিতে নামারও অনেক আগে নৌসেনা আধিকারিক হিসাবে একবার চিনে গিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রথমবার লালফৌজের দেশে পা রাখা তাঁর। এরপর আবার নিজের রাষ্ট্রপতি পদ ছাড়ার পর ১৯৮১ ও ১৯৮৭ সালে চিন সফরে গিয়েছিলেন তিনি।