Abhishek Banerjee: ‘সে তার সামর্থ্য মতো করেছে…আমি আমার মতো চেষ্টা করছি’
Abhishek Banerjee: ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভায় হবে এই ক্যাম্পটি। আরজি কর পরবর্তী পর্যায়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা গিয়েছিল অভিষেককে। স্বাস্থ্য শিবির,বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ, প্রয়োজনীয় হাসপাতালে রেফার। সবই হবে এই ক্যাম্পগুলি থেকে।
ডায়মন্ড হারবার: ঘোষণা হয়েছিল আগেই। সেই মতোই বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে উদ্বোধন হচ্ছে সেবাশ্রয়ের। সত্তর দিন ধরে হেলথ ক্যাম্প। ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভায় হবে এই ক্যাম্পটি। আরজি কর পরবর্তী পর্যায়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা গিয়েছিল অভিষেককে। স্বাস্থ্য শিবির,বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ, প্রয়োজনীয় হাসপাতালে রেফার। সবই হবে এই ক্যাম্পগুলি থেকে।
এক নজরে সব আপডেট (সর্বশেষ তথ্য উপরে)
- নিজের লোকসভা কেন্দ্রে সক্রিয় বাইরে কি নিষ্ক্রিয়? অভিষেক বলেন, “এত বড় কাজ। আমায় সময় দিতে হবে। রাতারাতি হয় না। এটা বাস্তবায়িত করতে এক দেড় মাস সময় লেগেছে। দল যেখানে যেতে বলেছে আগামী দিনেও যাব। আর আমার ঘনিষ্ঠ বা তার ঘনিষ্ঠ কী? যে যার ঘনিষ্ঠ হতে পারে। আমার লক্ষ্য দলে দলে ঢুকে জোড়াফুল ফোটানো। আপনারা এগুলো নিয়ে গুজব রটাচ্ছেন। সুব্রত বক্সী বৈঠক করছেন আপনারা খবর করছেন। আরে আমার কাছে অন্য দলের লোক এল খবর করলেন বুঝলাম। আমি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজ্যের সভাপতি কথা বলতে আসছেন, বা চা খেতে আসছেন খবর করছেন? সাংবাদিকতার মান নামাবেন না। তৃণমূলের যে কেউ আসতেই পারে যখন ইচ্ছা।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: আমার কাছে চারদিন আগে এক শিল্পীর ফোন এসেছিল। আমি নাম করে তাঁকে বিড়ম্বনায় ফেলব না। সে বলল আমি শুনেছি আরজি করে প্রতিবাদ করেছি। হঠাৎ করে একটা জায়গায় শো করার কথা ছিল। বাতিল করে দিয়েছে। যেহেতু উনি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছেন। আমি সঙ্গে মেলা কমিটির সদস্য-সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করি। এবং যিনি ফোন করেছিলেন তিনিও শো করছেন। ১৪ই অগস্ট যাঁরা রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন কেউ সমর্থন করুক বা না করুক আমি সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। আমি আজও একই কথা বলছি। কারও ভাল লাগতে পারে বা খারাপ লাগতে পারে। এটাই বাংলার সঙ্গে তফাত।
- কুণাল ইস্যুতে বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, “কে কোথায় প্রতিবাদ করবে সেটা তার এক্তিয়ার। তার স্বাধীনতা। কে কোথায় কাকে নিয়ে গান গাওয়াবে, কখন গাওয়াবে, কে গান গাইবে আমি জোর করে কারও মাথায় চাপাতে চাই না। আমি কোথা দিয়ে হাঁটব-চলব এটা আমার সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতা সকলের আছে। উনি বলতে পারেন। পার্টির তরফে কেউ বলেছে? কোনও নোটিস দেখেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা আমি জেনারেল সেক্রেটারি কিছু বলেছি?
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: ধর্মের নামে যাঁরা বাংলাকে অশান্ত করতে চেয়েছে তারা জবাব পেয়েছে। এত টাকার দিয়েছি হিসাব দিয়েছে। আরে কত টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছে সেটারও হিসাব দিন।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার পুলিশ না সাহায্য করলে জঙ্গি ধরা পড়ত? জঙ্গি কে ঢুকিয়েছে? বিএসএফ। বাংলাকে অশান্ত করতে। রাজ্য পুলিশ ধরেছেন। আরজি করের ঘটনাতেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ছ’মাস লেগে সিবিআই এর সেই একই কাজ করতে। সিবিআই ইডি কে জিজ্ঞাসা করুন কত পয়সা মানুষের ফিরিয়েছে? আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। আমরা বাড়ির ষাট হাজার টাকা দিয়েছি। এটা কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ছিল।
- জঙ্গি ইস্যুতে মুখ খুললেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বিরোধীরা অনেক কিছুই বলেছে। আরজি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রান্ত করেছেন। এখন তো আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন করছেন না। বিরোধীরা বলছেন হাব হয়ে উঠেছে। কীসের হাব? পশ্চিমবঙ্গ হাব তো বটেই। মানুষের কাছে উন্নয়নের হাব হয়ে উঠেছে। এ রাজ্য সমস্ত দেশের নিদর্শন। কেন্দ্র সরকার এতদিন অনেক বড় বড় কথা বলেছে। সিএএ-নাগরিকত্ব দেব। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কেন্দ্র কেন পদক্ষেপ করছে না? নির্বাচন নেই বলে? পাঁচ মাস তো হয়ে গেল? এই পাঁচ মাসে পাঁচ মিনিটের জন্যও সময় হয়েছে মানুষের জন্য কিছু করার? সন্দেশখালি নিয়ে বলেছিল না? নির্বাচনে মানুষ ঝামা ঘষে দিয়েছে। যত চক্রান্ত হয়েছে, তত মানুষ আশীর্বাদ দিয়েছে। এদের কাজই চক্রান্ত করা। এত ভাষণ না দিয়ে ওরা কেন যাচ্ছে না দিল্লিতে? প্রতিবাদ সভা করুন। বিএসএফ কী করছে? এই তো ত্রিপুরা থেকে এতজন ধরা পড়েছে। ত্রিপুরা সরকার কি তৃণমূলের? ডাবল ইঞ্জিন সরকার তো? অসমের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল করে? ওঁরাই বলে ঘুসপেটিয়া, উল্টা লটকা দুঙ্গা, কাকে ঝোলালো?
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্য সরকার গত ১৪ বছরে যেভাবে কাজ করেছে, একের পর এক মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এগুলো আগে ছিল না। সে তার সামর্থ্য মতো করেছে। আয়ুষ্মান ভারত অনেক পরে এসেছে। আপনার হাতে মোবাইল ফোন থাকলে আপনি আয়ুষ্মান ভারত পাবেন না। স্বাস্থ্য সাথী পাবেন। আমি আমার মতো করার চেষ্টা করছি।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি নিজেও এসে তদারকি করব। সমস্যা যদি কিছু হয় সমাধানের চেষ্টা করব। কোনও ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবেন। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: আমায় যাঁরা ভোট দিয়েছেন আমি তাঁদের সাংসদ, যাঁরা দেননি তাঁদের রাজনৈতিক রঙ যাই হোক না কেন আমি তাঁদেরও সাংসদ। আমি সকলে অনুরোধ করব আপনারা সকলে আসুন। ছোটবেলায় শুনতাম স্বাস্থ্যই সম্পদ। টাকা পয়সার জন্য অনেক কিছু করেন। স্বাস্থ্য না থাকলে কিছু থাকবে না।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা যে পরিধিতে কাজ করছেন চেষ্টা করুন মানুষকে সুস্থ পরিষেবা দেওয়ার। মানুষ ভাল থাকবেন। চেষ্টার ত্রুটি রাখবেন না। অনেকেই ভাবেন এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল হবে কীভাবে? আগে শুরু করতে হয়। ভেবেছিলাম পারব না। ১২০০-১৪০০ ডাক্তারকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এতবড় কাজ যা ভারতে কেউ সাহস দেখায়নি আমরা চেষ্টা করেছি। এই কর্মসূচি আমার বিশ্বাস বাংলা সহ গোটা দেশকে পথ দেখাবে।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: মডেল ক্যাম্পে যে আয়োজন করা হয়েছে, তা হল একটি রেজিস্ট্রেশন ডেস্কের আয়োজন হয়েছে। ডাক্তারদের জন্য আলাদা বিশ্রাম কক্ষ। তিনটে ডাক্তারদের চেম্বার মডেল ক্যাম্পে আছে। সাধারণ ক্যাম্পে দুটো ডাক্তারদের চেম্বার থাকছে। রোগ পরীক্ষার জন্য আলাদা কক্ষ ও ওষুধের আলাদা ফার্মাসি থাকছে।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘সেবাশ্রয়ের’ মতো কর্মসূচি ভারতে আগে হয়নি। কোনও লোকসভা ও বিধানসভায় কেউ করেনি। ৩০০টি ক্যাম্প আগামী দিনে আয়োজন করা হবে। এখানে বিনামূল্যে সাস্থ্য পরিষেবা, বিনামূল্যে ওষুধ, একটি সচেতনতা পুস্তিকা ও উপদেশবলী দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন করা হলেই এগুলো পাবেন। প্রতিটি সাধারণ ক্যাম্পে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট হবে।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: এই সংসদীয় এলাকার মানুষ আমাকে তৃতীয়বার দিল্লিতে পাঠিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি সেই ঋণ কীভাবে শোধ করা যায়। আমরা প্রতিবছর চেষ্টা করি।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: ২০২৪ সালে ঘোষণা করেছিলাম বার্ধক্য ভাতা দেব। সেই মতো ৭৫ হাজার প্রবীণদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পৌঁছে দিয়েছি। অনেকেই বলেছিল সামনে নির্বাচন তাই অভিষেক করছে। মিডিয়ার অনেকেই বলেছিল। তাঁদের বলার অধিকার আছে। কিন্তু এই বছরে কোনও নির্বাচন নেই। তবুও সেবাশ্রয় হচ্ছে। আমরা নির্বাচনের সময় উড়ে এসে জুড়ে বসার রাজনীতি করি না। এই গোটা বছর কোনও নির্বাচন নেই। আমরা প্রতিবছর এই কাজ করি। করোনার সময়ও নির্বাচন ছিল। সেই সময়ও সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাবার পৌঁছে ছিল। সেবা করেছিল।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ১২০০-র বেশি ডাক্তার সেবাশ্রয়ের অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। আমরা আমতলার সভা থেকে এই কর্মসূচির কথা বলেছিলাম।