সন্দেশখালি: সাদা জামা, সাদা প্যান্ট, ম্যাচিং করে ধূসর রঙের নেহেরু কোর্ট। পায়ে সাদা স্নিকার্স। ৫৫ দিন পর যখন শাহজাহানকে দেখা গেল তখন এই সাজেই ধরা দিলেন তিনি। তবে গ্রেফতার হওয়ার পরও তাঁর শরীরে কার্যত দেখা গেল না কোনও উত্তাপ। তাঁর হাতে দেখা গেল না কোনও হ্যান্ডকাফ, কোমরে নেই দড়িও। আঙুল উঁচিয়ে এমন ভাবে আদালতে প্রবেশ করলেন যেন ‘জামাই’। তাহলে কি নিয়ম সবার জন্য আলাদা? এমনই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
গতকালই বিধান সভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, কারাগারের পিছনে থাকলেও তাঁকে মোবাইল ফোন দেওয়া হবে। যাতে তিনি ভার্চুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করতে পারেন।
The Scoundrel of Sandeshkhali – Seikh Shahjahan is in the safe custody of Mamata Police since 12 am last night. He was taken away from the Bermajur – II Gram Panchayat area, after he managed to negotiate a deal with the Mamata Police, through influential mediators, that he would…
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) February 28, 2024
এ দিকে, আজ আবার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তাপস ঘোষ জানান, “প্রমাণ হচ্ছে তো পুলিশ এতদিন জামাই আদর দিয়ে, ভালো-মন্দ খাইয়ে রেখেছিল। আজ যখন ক্লাসের উদ্দেশ্যে তাঁকে বার করা হচ্ছে,পুলিশ তাঁর হাতটুকু ধরার সাহস দেখাতে পারিনি।” সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব জোনাল কমিটির সদস্য কিংকর কান্তি রায় জানান,”পুলিশের ক্ষমতা নেই ওনার কোমরে দড়ি পরানো। বারবার বিভিন্ন কেস দিয়ে শুধু পিসি টানবে।”
এ দিকে, গতকাল রাত্রিবেলা গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। আজ তাঁকে তোলা হয় বসিরহাট আদালতে। আজ সংবাদিক বৈঠক করে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানান কেন শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে এত দেরি হচ্ছিল। তিনি বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে লাগাতার বলা হয়েছে পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে না। আমি স্পষ্টত বলতে চাই এটা ভুল,অপপ্রচার। আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল।” এরপরই তাঁর প্রশ্ন, “রাজ্য পুলিশের উপর আইনি বাধ্য-বাধ্যকতা ছিল ঠিকই। ইডির উপর ছিল না। তারপরও তাঁরা কেন শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে উদ্যোগী হননি?”