Upen Biswas Video: লাখ লাখ টাকা নিয়ে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কে এই ‘রঞ্জন’? জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 24, 2022 | 8:40 PM

Teacher Recruitment Scam: উপেন বাবু অবশ্য বলেছেন, তিনি এই তিনি সিবিআইয়ের কাছে যাবেন না। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যদি এই নিয়ে তাঁর কাছে আসেন, তবে তিনি তদন্তের কাজে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।

Upen Biswas Video: লাখ লাখ টাকা নিয়ে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কে এই রঞ্জন? জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে কে এই 'রঞ্জন'

Follow Us

কলকাতা : রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের একটি ভিডিয়োয় ‘রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। যদিও রঞ্জন ওই ব্যক্তির আসল পরিচয় নয়। তবে ওই ব্যক্তি নাকি শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। আর এই নিয়েই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কে এই রঞ্জন? তার পরিচয় কী? এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। উপেন বাবু অবশ্য বলেছেন, তিনি এই তিনি সিবিআইয়ের কাছে যাবেন না। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যদি এই নিয়ে তাঁর কাছে আসেন, তবে তিনি তদন্তের কাজে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।

উপেন বিশ্বাস রঞ্জনের আসল পরিচয় প্রকাশ না করলেও প্রাক্তন মন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই ‘রঞ্জন’ নামক ব্যক্তি বাগদার বাসিন্দা। পাশাপাশি ওই ‘রঞ্জন’কে ‘সৎ’ বলেই দাবি করেছেন তিনি। কারণ, সে যেমন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিত, তেমনই কেউ যদি টাকা দিয়েও চাকরি না পেত, তাহলে সেই টাকা আবার ফিরিয়েও দিতেন রঞ্জন। এ হেন ‘রঞ্জন’-এর মাথার উপর কার হাত ছিল? তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া জানিয়েছেন, “এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে যে সব যোগ্য প্রার্থী চাকরি পায়নি তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। আর যারা এভাবে চাকরি পেয়েছে, তাদের বরখাস্ত করতে হবে। হাইকোর্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।”

তবে উপেন বিশ্বাসের ভিডিয়োয় যে রঞ্জনের নাম উঠে এসেছে তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ ছিল না বলেই দাবি করেছেন বনগাঁ তৃণমূল সংসদীয় জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ। তাঁর বক্তব্য, “রঞ্জন আদৌ তৃণমূল করে বা করত বলে জানি না। উপেন বাবু যখন বিধায়ক ছিলেন, সেই সময় কী হয়েছিল জানি না। তবে এই ব্যক্তি আগে সিপিএমের ঘনিষ্ঠ ছিল। ২০১৯ -এর আগে বিজেপির ঘনিষ্ঠ ছিল।” আবার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বক্তব্য, “এটি একটি জুডিশিয়াল বিষয়, এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের অবশ্য দাবি করেছেন, ‘রঞ্জন’ হল আসলে এই বিশাল দুর্নীতির মধ্যে হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তাঁর মতে, এই দুর্নীতি যদি একটি মাকরসার জাল ধরা হয়, তাহলে তাতে একটি বিন্দু হল এই রঞ্জন। জালের মাঝখানে রয়েছে মাকরসা বসে রয়েছে, সেই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে।

Next Article