বনগাঁ: ব্যবসায়ীদের ব্যবসা কিংবা সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার ব্যবসায়ীদের ধর্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে। এবার প্রকাশ্যে এসেই একথা বললেন বগনাঁ নামী নার্সিংহোম মালিক মলয় সাহা। তিনি অভিযোগ করেন, বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন শঙ্কর আঢ্য তাঁকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন?
সালটা ২০১৫। সে সময়ে বনগাঁ লোকসভা উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে উঠে আসে মলয় সাহার নাম। আদৌ তিনি প্রার্থী হবে, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা ছাড়াই, কেবল জল্পনা শুরু হতেই মলয় সাহার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তাঁরই নার্সিংহোমের এক কর্মী সেই অভিযোগ তোলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন তিনি। সাত-আট মাস জেলও খাটেন। পরে তিনিই জেল থেকে বেকসুর খালাস হন। মলয় সাহার দাবি, ‘ওই মহিলা নিজেই আদালতে স্বীকার করেন তেমন কিছু হয়নি। টাকা পয়সা নিয়ে আমি বকাবকি করেছিলাম তাঁকে। তারপরই কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিই। তিনিই গিয়ে অভিযোগ করেন। পার্টির মদত তো ছিলই।’
মলয় বলেন, “ধর্ষণের মতো একটা মিথ্যা কেসও দিয়ে দিল। সে সময়ে আমি জামিন কোনওভাবেই পাচ্ছিলাম না। আইসি বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সরকারি আইনজীবীও আসতেন না শুনানির সময়ে। শুনানি পিছিয়ে যেত। শেষমেশ সাত আট মাস পর আমি জামিন পাই।” তিনি জানান, গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক মদতেই হয়েছে। তার একটাই কারণ, ওই এলাকায় জল্পনা ছড়িয়েছিল, তিনি নাকি বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন। আদৌ তিনি প্রার্থী হননি। তিনি বলেন, “জেলে থেকে ছাড়া পেয়ে কাজে যোগ দিই। কিন্তু মানিসকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম। আমার অনেকটা সময় লাগে। এই ধরনের অভিযোগে আমার পরিবারকেও অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তবে পরিবারকে প্রথম থেকেই পাশে পেয়েছিলাম।” এর আগে শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। বনগাঁর ব্যবসায়ীদেরই একাংশ বলেন, বড় সুদে ঋণ দিতেন জোর করে দিতেন শঙ্কর আঢ্য। তারপর সুদ দিতে না পারলে, ব্যবসা লুঠ হয়ে যেত। তৃণমূলের কাউন্সিলর নারায়ণ ঘোষ জানান, “আইন আইনের পথে চলবে। তৃণমূলের কোনও বাধা নেই।”