বনগাঁ: বনগাঁর ডাকু এখন ‘শ্রীঘরে’। আর তিনি গারদে যেতেই এ যাবৎকালের তাঁর একের পর এক ‘কীর্তি’ প্রকাশ্যে আসছে। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া শঙ্কর আঢ্য বিরুদ্ধে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ। শঙ্কর ওরফে ডাকুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোনার দোকান থেকে সিন্দুক তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন, এমনকী বাড়ি কেড়ে তৈরি করে ফেলেছিলেন তৃণমূলের পার্টি অফিস! বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ বিস্তর।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতির দেবদাস মণ্ডলের অভিযোগ, বনগাঁর দিঘিরপাড়ে এক ব্যক্তির তিন তলা বাড়ি ক্ষমতার জোরে কেড়ে নিয়েছিলেন শঙ্কর আঢ্য। সেই বাড়ি দখল করে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ও বানিয়ে ফেলেন তিনি। তখন তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। হীরামল গলিতে সোনার দোকানের সিন্দুক কেড়ে নিয়েছিলেন। গোপালনগরে এক বিঘা জমি দখল করে গোডাউন তৈরি করেছিলেন।
কার্যত একই অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতা বিপুল বসু। তিনি বলেন “হীরামল গলিতে সোনার দোকান লুঠপাট তো করেনই। উল্টে সিন্দুকও কেড়ে নেন। বাড়িও দখল করে নেন। বনগাঁর মানুষের বহু সম্পদ ওঁর কাছে বন্দক ছিল। কিছুই কেউ ফেরৎ পাননি।”
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, শঙ্কর আঢ্যের সুদের ব্যবসা ছিল। পৌরপ্রধান থাকাকালীন একাধিক ব্যবসায়ীকে টাকা দিতেন। সময় মতো সুদ দিতে না পারলে, দোকান-বাড়ি বন্ধক নিতেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর নারায়ণ ঘোষ জানান, “টাকা নিয়েছেন আমারও শুনেছি। কিন্তু কীভাবে নিয়েছেন জানি না। আইন আইনের পথে চলবে। তৃণমূলের কোনও বাধা নেই।” সোমবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় শঙ্কর আঢ্য দাবি করেন, তিনি কারোর থেকে এক পয়সাও নেননি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে কোনও সুবিধাও নেননি।