Sodepur Crime: পুলিশকে বোমা মারার ঘটনায় সোদপুর থেকে গ্রেফতার ৩

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 29, 2022 | 10:33 AM

Sodepur Crime: জানা যাচ্ছে, ওই ব্যবসায়ী তোলা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হুমকি দেয় বিশু। সেই সময় ব্যবসায়ী রন্টা পানিহাটি পৌরসভার কাউন্সিলর গোবিন্দ রায়কে ফোন করে বিষয়টি জানায়।

Sodepur Crime: পুলিশকে বোমা মারার ঘটনায় সোদপুর থেকে গ্রেফতার ৩
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমায় আহত হয়েছেন খড়দহ থানার সাব ইন্সপেক্টর। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ও তার দুই শাকরেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম বিশু কর্মকার, তার দুই শাকরেদ। রবিবার সকালে বিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময়েও পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।

তোলাবাজি চেয়ে না পাওয়ায় পরপর বোমাবাজির ঘটনা ঘটে পানিহাটিতে। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিশ। পানিহাটির চেনা মুখ ক্লাবের কাছে ব্যবসায়ী রন্টা মাইতির কাছে তোলা চেয়ে হুমকি দেয় বিশু নামে এক দুষ্কৃতী।

জানা যাচ্ছে, ওই ব্যবসায়ী তোলা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হুমকি দেয় বিশু। সেই সময় ব্যবসায়ী রন্টা পানিহাটি পৌরসভার কাউন্সিলর গোবিন্দ রায়কে ফোন করে বিষয়টি জানায়। কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানানোর পর দুস্কৃতীর সঙ্গে কাউন্সিলর গোবিন্দ রায়ের কথা হয়। অভিযোগ, বিশু কাউন্সিলরকেও হুমকি দেয়। এরইমধ্যে কাউন্সিলর খড়দহ থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়।

পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালায়। সে সময়ে পুলিশকে লক্ষ্য করেও দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন খড়দহ থানার এস আই প্রণব দেবনাথ। তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশকে বোমা মেরে ওই এলাকা থেকে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সে সময় পানিহাটি ধানকল মোড়ে বি টি রোডের ওপর কাউন্সিলর গোবিন্দ রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের পাটি অফিস লক্ষ্য করে চারটি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল থেকে একটি কৌটো বোম উদ্ধার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলে থাকা একজন যুবকও আহত হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। বোমাবাজির ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Next Article