Sodepur Deshbandhu Vidyapith for Boys: মানুষের মাথার চুল থেকেই ফলছে পালং, টমেটো, গাদা-মুলো! অভিনব আবিষ্কার সোদপুরের দেশবন্ধুর স্কুলে

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 07, 2023 | 4:54 PM

Sodepur Deshbandhu Vidyapith for Boys: এই সাফল্য আরও বড় আকারে জনসমক্ষে আনতে চান পশুপতি 'স্যর'। এই জন্য সরকার বা কোন সংস্থাকে পাশে চাইছেন। এই সাফল্য খুশি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও।

Sodepur Deshbandhu Vidyapith for Boys: মানুষের মাথার চুল থেকেই ফলছে পালং, টমেটো, গাদা-মুলো! অভিনব আবিষ্কার সোদপুরের দেশবন্ধুর স্কুলে
সোদপুর দেশবন্ধু বিদ্যাপীঠ

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: চুল থেকে তৈরি জৈব তরলেই ১৫ ধরনের চাষ হচ্ছে। আর এই অসম্ভবকে সত্যি করেছেন সোদপুরের দেশবন্ধু স্কুলের শিক্ষক (Sodepur Deshbandhu Vidyapith for Boys) এবং ছাত্ররা। বর্তমানে কংক্রিটের শহরে মাটির অভাব মেটাতেই এই আবিষ্কার তাঁদের, বলছেন ছাত্ররাই। মাটি ছাড়াই গাছ হচ্ছে সোদপুর দেশবন্ধু বিদ্যাপীঠে (বালক)। মানুষের মাথার চুল দিয়ে তরল জৈব সার তৈরি করছেন ছাত্ররা। সেই তরল জৈব সার বিভিন্ন পাত্রে রেখে চাষ হচ্ছে ১৫ রকমের গাছের। কংক্রিটের শহরে মাটি পাওয়া দুষ্কর। তাই ছাদে বা ব্যালকনিতে বোতল কিংবা যে কোনও পাত্রে এই তরল জৈব সার ঢেলে লাগাতে পারেন পালং শাক,লেটুশ শাক,মুলো,পুদিনা পাতা,ধনে পাতা,গাদা ফুল,টমেটোর মতো নানা রকম সবজি। মাটিতে চাষের তুলনায় অনেকটাই তাড়াতাড়ি যে কোনও গাছ বেড়ে উঠবে এই জৈব তরলে, গ্যারান্টি দিচ্ছেন ছাত্ররাই।

স্কুলের শিক্ষক পশুপতি মণ্ডল তাঁর ছাত্রদের নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গবেষণা করে মাটি ছাড়া জৈব তরলে গাছ লাগিয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। নিজের স্কুলের ল্যাবেই বছর খানেক ধরে চলছে ছাত্রদের নিয়ে এই গবেষণা। তবে এই সাফল্য আরও বড় আকারে জনসমক্ষে আনতে চান পশুপতি ‘স্যর’। এই জন্য সরকার বা কোন সংস্থাকে পাশে চাইছেন তাঁরা।

গবেষক শিক্ষক পশুপতি মণ্ডল বলেন, “আমরা মাটি ছাড়া গাছ লাগানোর কথা ভাবছি। কারণ শহরে জমি কম। মাটি নেই। আবার অনেকের সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য নেই। ব্যালকনি কিংবা ছাদে বিভিন্ন চাষ করেন। তাঁদের কথা ভেবেই এই আবিষ্কার। তাঁদের জন্য এটা কার্যকরী। মাটি ছাড়াই ফসল হবে। বছর খানেক সময় লেগেছে। ছ’মাস ধরে কেবল ট্রায়াল করা হয়েছে।” এই সাফল্য খুশি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও। এক শিক্ষক বলেন, “আমাদের স্কুলের শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ছাত্ররা চুল থেকে জৈব সার তৈরি করেছে। আমরা চাই রাজ্য সরকার যদি সাহায্য করে, তাহলে এই সারে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন।”

১.২ গ্রাম চুলকে নাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে, তাতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মিশিয়ে ডিস্ট্রিলড্ ওয়াটার দিতে হবে। এরপরে এই মিশ্রণে সোডিয়াম হাইড্রো অক্সাইড মিলিয়ে ২ লিটার জল ঢেলে দিতে হবে। অর্থাৎ ১.২ গ্রাম চুল থেকে দুই লিটার জৈব তরল সার পাওয়া যাচ্ছে। যার বাজার দর ৮০-১০০ টাকা। এই আবিষ্কার চাষিদের কাছে পৌছে দিতে চান শিক্ষক-ছাত্ররা। এরজন্য দরকার সরকারি সাহায্য। স্কুলের এক ছাত্র বলেন, “ভবিষ্যতে যদি সরকারি সাহায্য পাই, তাহলে চাষিদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারব আমরা। যে কোনও রাসায়নিক সারের তুলনায় এই সার অত্যন্ত কার্যকরী। তার প্রমাণ পেয়েছি। চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই এই চুল সার যে গাছে ব্যবহার করা হয়েছে, তার বৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো।”

Next Article