ব্যারাকপুর: রেলের ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ব্যারাকপুর স্টেশনে চলল ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে আরপিএফ। কিন্তু, ততক্ষণে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে গোটা স্টেশন চত্বর। যা রুখতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয় রেল পুলিশকে। অভিযোগ, বাম সমর্থিত ক্যাম্পে চলে দেদার ভাঙচুর। ERMC এবং ERMU এর বুথ ক্যাম্পে চলে ভাঙচুর। প্ল্যাটফর্ম থেকে রেল লাইন, সর্বত্র দেখা যায় ভাঙা চেয়ার, ছেঁড়া পতাকার ছবি। কিন্তু, কেন এই অশান্তি? কারা এর নেপথ্যে? তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। বিরোধীদের অভিযোগের তির যদিও শাসক তৃণমূলের দিকে। যদিও তাঁদের ক্যাম্পে গেলে দেখা গেল সেখানে কোনও ভাঙচুরের ছবি নেই। অক্ষত রয়েছে দলীয় পতাকাও।
বর্তমানে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে রেল পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল এসে আচমকা এলাকায় ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। ঘটনায় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “ওরা আচমকা এসে ভাঙচুর শুরু করে দেয়। বেশিরভাগই বহিরাগত। বেশ কয়েকজনের মাথাও ফেটে গিয়েছে। আমরা খুবই আতঙ্কিত।”
পাশে দাঁড়িয়ে আর একজন বললেন, “কংগ্রেস আর সিপিএমের ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। এবার বুঝে নিন কারা করতে পারে। আসলে ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়েই এমনটা করছে। যাঁরা ভয় পাচ্ছে তাঁরাই বহিরাগতদের ঢুকিয়ে ঝামেলা পাকাচ্ছে।” যদিও তৃণমূলের লোকজন বলছে, “আমরা অশান্তি চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। আমরা কিছুই করিনি। কারা করেছে সেটাও বলতে পারব না।”