Halisahar TMC Clash: হালিশহরে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে দলের কাউন্সিলরকে ‘মার’ তৃণমূল নেতার, শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 28, 2022 | 1:03 PM

Halisahar TMC Clash: দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে তাঁকে অতর্কিতে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

Halisahar TMC Clash: হালিশহরে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে দলের কাউন্সিলরকে মার তৃণমূল নেতার, শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর
তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: হালিশহরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। তৃণমূল কাউন্সিলরের ওপরেই হামলার অভিযোগ উঠল নেতার বিরুদ্ধে। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে তাঁকে অতর্কিতে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন সাংসদ অর্জুন সিং। রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে হালিশহরের তেঁতুলতলা এলাকায়। ঘটনাস্থলে যান বিজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। হালিশহর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হালিশহর তেঁতুলতলা সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস ওরফে শিবা। অভিযোগ, সন্ধ্যার পর আচমকাই এলাকার তৃণমূল নেতা দেবাশিস পাল ওরফে লাল্টু তাঁর ওপরে অতর্কিত হামলা চালান। পিছন থেকে এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে তাঁকে গালিগালাজও করা হয়।

আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য, কিছু কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু এমন ভাবে প্রকাশ্যে হামলা চালাবে, সেরকমও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এইভাবে দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই তৃণমূল কাউন্সিলরের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।

আক্রান্ত কাউন্সিলরের বক্তব্য, “গতকাল রাতে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। আমি রোজই দলীয় কার্যালয়ে বসি, কালও বসেছিলাম। আমি চেয়ারে বসেছিলাম। ও গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেই প্রথমে আমাকে ধাক্কা মারল। চার নম্বর ওয়ার্ডেই থাকে লাল্টু, জমির দালালি করত। যখন সিপিএম ক্ষমতায় তখন সিপিএম করত। এখন তৃণমূল করে।” তিনি আরও বলেন, ” আমি যখন নির্বাচনে দাঁড়াই, তখনও ঝামেলা করে। ও কেন আমার সঙ্গে এমন করছে জানি না। প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছে। আমার পরিবারও আতঙ্ক। আক্রোশের কারণও জানি না।”

অন্যদিকে অভিযুক্তের বক্তব্য, “তিন নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর যখন ছিলেন, তখনও স্বাভাবিক ছিলেন না। চার নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হয়েও অনেকরকমের কাজ করছেন, যা মানা যায় না। আমরা ভাসান সেরে ফিরছিলাম। তখনই আমাদের দেখে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। দেখছি তোদের…এসব বলেন। তখন আমাদের ছেলেরা উত্তেজিত হয়। ওঁর সিকিউরিটি গার্ড ও ওঁ দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। আমি মুখেই ওঁদের বলেছি, কাউন্সিলরকে সামলাও।”

Next Article