TMC Councillor murder: ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে বলা হয়েছিল… পানিহাটি খুনে বিস্ফোরক তথ্য পুলিশের হাতে
TMC Councillor murder: অনুপম দত্ত খুনে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয়েছে শম্ভুনাথ পণ্ডিত নামে এক শুটারকে। পরে জেরা করে আরও দুজন দুষ্কৃতীর খোঁজ পায় পুলিশ।
পানিহাটি : ভাড়াটে খুনি পাঠিয়েই সারা হয় কাজ। পানিহাটি কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় এই তথ্য আগেই পেয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। কোনও এক আক্রোশ থেকেই খুন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এবার আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এল। ধৃত দুষ্কৃতীদের জেরা করে জানা গিয়েছে, অস্ত্র আনা হয়েছিল বিহার থেকে। বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনে এনেই খুন করা হয়। জেরায় এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত বাপি পণ্ডিত। পাশাপাশি, আরও জানা গিয়েছে কাউন্সিলর খুনের জন্য ৪ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কে বা কারা অত টাকা দিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, যে ওয়ান শটার দিয়ে অনুপম দত্তকে গুলি করা হয়েছিল, সেটা ১২ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন ওই বাপি পণ্ডিত। কাউন্সিলর খুনে ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও আর একটি সেভেন এমএম পিস্তলের খোঁজ পায়নি পুলিশ। সেই আগ্নেয়াস্ত্র কার কাছে আছে, খুনিরা সেই আগ্নেয়াস্ত্রটি কোথায় ফেলে দিয়েছে, তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসারেরা।
এ দিকে সুবিচার পেতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে পারেন অনুপম দত্তের স্ত্রী। ইতিমধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষীর। বুধবারই অনুপম দত্তের বাড়িতে যেতে পারেন ফিরহাদ। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটা গোপন কথা বলতে চান মীনাক্ষী। সেই কথা তিনি আর কাউকেই বলবেন না বলে জানিয়েছেন।
অনুপম দত্ত খুনে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমেই গ্রেফতার করা হয়েছিল শম্ভুনাথ পণ্ডিত নামে এক দুষ্কৃতীকে। তাঁকে জেরা করে আরও দুজনের নাম জানতে পারে পুলিশ। সোমবার রাতে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ও খড়দহ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রেনের টিকিটের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয়। বর্ধমানের কালনা এলাকার সিমলান ও আগ্রাহাটি গ্রাম থেকে শম্ভুনাথেরই মাসির ছেলে বাপি ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিতকে গ্রেফতার করে খড়দহ থানার পুলিশ। পরে তাঁদের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুরের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
তৃণমূল কাউন্সিলরকে যে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছিল, তা বেশ স্পষ্ট। তবে খুনের নেপথ্যে ঠিক কী ছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে। কেউ বলছেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবার কেউ বলছেন প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদ। তবে কাউন্সিলরের স্ত্রী জানাচ্ছেন, স্বামী ছিলেন প্রতিবাদী। তার জেরেই সম্ভবত এ ভাবে খুন হতে হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন : Doctor’s WhatsApp Location: হোয়াটসঅ্যাপে লোকেশন শেয়ার করতে হবে চিকিৎসকদের, এই নির্দেশের পিছনে আসলে কে?