Deganga Dengue: ডেঙ্গি দমনে আসরে তৃণমূল, ফগিং মেশিন নিয়ে টাকি রোড ‘স্তব্ধ করে’ বিশাল মিছিল

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Sep 30, 2022 | 7:16 PM

Dengue Rally: মিছিল শুরু হয় দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা পলিটেকনিক কলেজ থেকে। টাকি রোড ধরে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হাঁটার পর বীণাপানি বালিকা বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয় মিছিল।

Deganga Dengue: ডেঙ্গি দমনে আসরে তৃণমূল, ফগিং মেশিন নিয়ে টাকি রোড স্তব্ধ করে বিশাল মিছিল
দেগঙ্গায় তৃণমূলের মিছিল

Follow Us

দেগঙ্গা: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে, কিন্তু তারপরও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য স্থানীয় স্তরে প্রশাসনের তরফে নানাবিধ সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এবার সচেতনতা বাড়াতে আসরে তৃণমূলও। দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টাকি রোডে এক বিশাল সচেতনতা মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান। ফগিং মেশিন, ব্যান্ড পার্টি, রণপা নিয়ে চলে মিছিল। মিছিল শুরু হয় দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা পলিটেকনিক কলেজ থেকে। টাকি রোড ধরে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হাঁটার পর বীণাপানি বালিকা বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয় মিছিল।

মিছিলে পা মেলান হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। মিছিলের জেরে প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় টাকি রোড। ফগিং মেশিন দিয়ে মশা তাড়ানোর জন্য টাকি রোডের দুই ধারে ধোঁয়া ছড়ানো হয়। তৃণমূলের দেগঙ্গা ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান হাত জোড় করে আমজনতার কাছে ডেঙ্গি নিয়ে সচেনতনার বার্তা দেন। তবে তৃণমূলের এই ডেঙ্গু সচেতনতার মিছিল ঘিরে স্থানীয় স্তরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, “ডেঙ্গু সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর সেখানে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি টাকি রোড স্তব্ধ করে হাতে ফগিং মেশিং,রণপা,ব্যান্ড পার্টি নিয়ে মশা তাড়াতে মিছিল বের করেছে। এখানে মশার থেকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বেশি। ডেঙ্গু সচেতনতার নামে ব্লক সভাপতি রাজনীতি করতে নেমেছেন। ডেঙ্গু সচেতনতায় সরকারি প্রচার বাদ দিয়ে পার্টির প্রচার চলছে। হাজার হাজার মানুষকে সমাগম করে টাকি রোড স্তব্ধ করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলা হয়েছে।”

তবে পদ্ম শিবিরের এ সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দেগঙ্গা ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান। তাঁর দাবি, “একটি রাজনৈতিক দলের তিনটি বিষয় থাকে – বক্তব্য, মন্তব্য আর কর্তব্য। বিজেপি সিপিআইএম এরা বক্তব্যে আর মন্তব্যে আছে। আর যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস করেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, তাঁরা কর্তব্যে রয়েছেন। দেগঙ্গায় বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই, তাই মন্তব্য আর বক্তব্য দিতে ব্যস্ত। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথাব্যথা নেই।”

Next Article