ব্যারাকপুর: ভোটের আগে চড়াম-চড়াম ঢাক কিংবা গুড়-বাতাসার দাওয়াই এর ডায়লগ শোনা যেতে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। তবে সে সব এখন অতীত। গরুপাচার মামলায় বর্তমানে শ্রীঘরেই ঠাঁই হয়েছে তাঁর। তবে এবার আর গুড়-বাতাসা নয়, পঞ্চায়েত ভোটে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর দাওয়াই জল-বাতাসা। আর সুগারের রোগীদের জন্য থাকবে ব্ল্যাক টি।
জেলায়-জেলায় চলছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir su কর্মসূচি। প্রতিটি জায়গায় ‘দিদির দূত’-রা গিয়ে শুনছেন সুবিধা-অসুবিধার কথা। তেমনই ব্যারাকপুর মোহনপুরে ‘দিদির দূত’ হিসাবে পৌঁছেছিলেন মদন। এ দিন, মোহন পুর পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে বাড়িবাড়ি অভাব-অভিযোগ শোনার পর ভোটারদের জল-বাতাসা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। জানান, প্রতিটি বুথে দলের কর্মীদের কাছে রাখা থাকবে জল-বাতাসা-আর ব্যাক টি। ভোটাররা ভোট দেওয়ার সময় জল-বাতাসা খেয়ে ভোট দিতে যাবেন।
এ দিন মদন বলেন, “মানুষকে বলব আপনারা যদি মনে করে ভাল কাজ করেছি তাহলে অবশ্যই আমাদের ভোট দেবন। ফেরার সময় আমাদের বুথের সামনে দিয়ে গেলে অবশ্যই একটা বাতাসা একটু জল হাতে তুলে দেব। গুড দেব না ওটা একটু চটচট করে।”
তবে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে মদন মিত্র গেলেও অনেকে আশাবাদী আবার অনেকে আশাবাদী নয়। তাদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে দিদির দূত মদন মিত্রকে বলে আদোও কি কাজ হবে? প্রশ্ন অনেকের মনে। একজন বললেন, “পাকা রাস্তার কথা জানিয়েছি। দেখি কাজ হয় কি না।” আবার অনেকে ভাবছেন না আচালে বিশ্বাস নেই। কেউ আবাস যোজনায় ঘর পায়নি, আবার কেউ জব কাড’ থাকা সত্ত্বেও কাজ পাচ্ছেন না।